Fake Medicine : নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি, ১৩৭টি জাল ওষুধ বাতিল করল রাজ্য

5

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৪ মে : রাজ্যে জাল ওষুধ প্রবেশ রোধে আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল প্রশাসন। এবার হোলসেলার ও বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুসারে, ১৩৭ ধরনের ওষুধ বাতিল করা হয়েছে (Fake Medicine)। এই তালিকায় আই ড্রপ, কেমোথেরাপি সংক্রান্ত ওষুধ, ডায়াবেটিক ইনজেকশন থেকে পেটের আলসার নিরাময়ের ওষুধ পর্যন্ত রয়েছে। প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত তালিকায় বাতিল হওয়া ওষুধগুলির বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। সতর্কতা জারি করে সংশ্লিষ্ট মহলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ভুয়ো ওষুধের বিপণন বন্ধ করা যায় এবং জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিক্রেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থার বৈধ লাইসেন্স যাচাই করতে হবে, পাশাপাশি সেই লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিনের, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। রাজ্যের বাইরের কোনও সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক, পাশাপাশি জিএসটি নম্বরও নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশিকার মূল লক্ষ্য হলো ভুয়ো ওষুধের বিপণন রোধ করা এবং জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা বজায় রাখা। প্রশাসনের কড়া নজরদারির মাধ্যমে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ৩০০টি ওষুধের গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি কেনার আগে বাধ্যতামূলকভাবে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে, নতুন বিধি-নিষেধ কার্যকর হলে রাজ্যের ওষুধ বাজারে জাল ওষুধের বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ডিসেম্বরে, যখন কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড ‘নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস’ বলে ঘোষণা করেছিল ৯৩টি ওষুধকে। পরবর্তীতে জানুয়ারিতে আরও ৫১টি ওষুধের তালিকা প্রকাশ করা হয়, এরপর মার্চে আরও ১৩৪টি ওষুধের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই তালিকায় নামী ব্র্যান্ডের একাধিক ওষুধের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনও রয়েছে। পরীক্ষার সময় শতাধিক ওষুধ গুণমানের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, যা জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

Comments are closed.