Fire At Howrah : হাওড়ার মর্ডান মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি, চারিদিকে ধোঁয়া

8

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ মে : হাওড়ার মর্ডান মঙ্গলাহাটের গুদামে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, যার ফলে কালো ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছাদিত হয়ে গেছে (Fire At Howrah)। স্বাভাবিকভাবেই, আতঙ্কিত হয়ে প্রায় তিন হাজার ব্যবসায়ী হুড়োহুড়ি শুরু করেছেন। খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা চলছে। তবে, এলাকার ঘিঞ্জি অবস্থা দমকল আধিকারিকদের কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ হাওড়ার মডার্ন মঙ্গলা হাটের চারতলার একটি গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ওই ভবনে প্রায় ২৮০০ ব্যবসায়ী থাকেন, আর যেহেতু এটি হাটবার ছিল, ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল বেশ উল্লেখযোগ্য। হঠাৎই বিকিকিনির মাঝে কালো ধোঁয়া দেখতে পান ব্যবসায়ীরা, ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই দ্রুত নিচে নামার চেষ্টা করেন। খবর পেয়েই দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে গোটা বিল্ডিংটি ফাঁকা করা হয়, এরপর দমকল কর্মীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লেলিহান শিখা আয়ত্তে আসে।

দমকল সূত্রে জানা গেছে, ওই বিল্ডিংয়ে পুরসভার দেওয়া জলের লাইন বিচ্ছিন্ন ছিল, ফলে সেখানে কোনো অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। চারতলার উপরে থাকা জলের রিজার্ভারও সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দমকল আধিকারিকদের মতে, আগুন পুরোপুরি নির্বাপিত হওয়ার পরই ঘটনার আসল উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মডার্ন মঙ্গলাহাটে অসংখ্য ছোট ছোট দোকান রয়েছে, যেখানে প্রচুর জামা-কাপড় মজুত থাকে। এসব দোকান বাঁশ ও কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা এতটাই যে দমকলের গাড়িগুলোও ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে না, ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দোকানদারদের আপাতত দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছে দমকল বিভাগ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালেও মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, যেখানে বহু দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এবারের অগ্নিকাণ্ড সেই ঘটনার স্মৃতি আরও একবার তাজা করে দিয়েছে স্থানীয়দের মনে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—সেই সময়ের অভিজ্ঞতা থেকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যার পরিণতিতেই আজকের এই বিধ্বংসী আগুন।

Comments are closed.