কলকাতা, ২ মে: আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কলকাতায়। এ বার আগুন লাগল সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অবস্থিত একটি রাসায়নিক কারখানায়। আগুনের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ওই রাসায়নিক কারখানায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, আর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই কারখানার বাইরে থেকেও বিস্ফোরণের জোরালো শব্দ শোনা যায়। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জনবহুল অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটায় আগুন যদি আরও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, এবং তিনি পরিস্থিতির তদারকি করছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত চার দিনের মধ্যে এটি শহরে ঘটে যাওয়া তৃতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
আগুন লাগার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে ছ’টি দমকল ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত রয়েছে। শুরুতেই বাহির থেকে হোসপাইপের সাহায্যে জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান দমকলকর্মীরা। তবে আগুনের ভয়াবহতা এতটাই বেশি যে এখনও পর্যন্ত কারখানার ভিতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে দমকল সূত্র। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই ভিতরে প্রবেশ করে আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
দমকল বিভাগের অনুমান, ওই কারখানায় বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে। আর সেই দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দমকলকর্মীরা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মাত্র দু’দিন আগেই কলকাতার মেছুয়াবাজারে ঋতুরাজ হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১৪ জন। অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে দমবন্ধ হয়ে। ওই ঘটনার তদন্তে এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঠিক সেই প্রেক্ষাপটেই ফের শহরের অন্য প্রান্তে ঘটল আরও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরবাসীর মধ্যে।
Comments are closed.