Health Warning AIIMS : চপ-সিঙাড়া-জিলিপির পাশে সিগারেটের মতোই সতর্কবার্তা!

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৪ জুলাই : চর্বি ও চিনি-সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি বাড়তে থাকা আসক্তি ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নাগপুরের AIIMS-এ শুরু হয়েছে একটি বিশেষ সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান (Health Warning AIIMS)। এই উদ্যোগ অনুযায়ী, এখন থেকে জনপ্রিয় স্ন্যাকস—যেমন সিঙাড়া, চপ, জিলিপি, পাকোড়া, বড়াপাও কিংবা চায়ের সঙ্গে পরিবেশিত বিস্কুটের পাশেই দেখা যাবে ধূমপানের প্যাকেটের মতো স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা (statutory warning)। এই সতর্কবার্তায় স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকবে—এইসব খাবারে থাকা অতিরিক্ত তেল, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট দীর্ঘমেয়াদে কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যেমন স্থূলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। সচেতনতা বাড়িয়ে খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনাই এই প্রচারের মূল লক্ষ্য।

নাগপুরের এইমস ক্যাম্পাসে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়া ও পাবলিক ফুড কোর্টগুলিতে এখন থেকে প্রতিটি ফুড কাউন্টারে উজ্জ্বল রঙে ও স্পষ্ট অক্ষরে সতর্কবার্তা প্রদর্শিত থাকবে। এসব সতর্কবার্তায় উল্লেখ থাকবে—প্রত্যেকটি খাবারে কতটা চর্বি, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে, এবং নিয়মিত এই উপাদানসমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে কী ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষকে তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আরও সচেতন করা এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।

ভারতে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো জীবনধর্মী রোগ (lifestyle diseases) দ্রুত বেড়ে চলেছে, যা জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। The Lancet-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ৪৪ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য এখন একেবারে মূল স্তর থেকে জনসচেতনতা গড়ে তোলা—শুরুটা করতে হবে খাবারের প্লেট থেকেই। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত চর্বি ও চিনি গ্রহণ, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হতে পারে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর প্রথম পদক্ষেপ।

সরকার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে—সিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। এগুলি আগের মতোই বিক্রি হবে। তবে সাধারণ মানুষ যেন জানেন, তাঁরা কী খাচ্ছেন এবং কী পরিমাণে খাচ্ছেন—এই সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে সতর্কবার্তা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এই উদ্যোগ দেশের অন্যান্য শহর ও প্রতিষ্ঠানেও চালু করা হবে। কর্তৃপক্ষের আশাবাদ—এই ছোট ছোট সতর্কবার্তাগুলোই ধীরে ধীরে দেশের খাদ্যাভ্যাসে বড় ও ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেবে।