Home Ministry to Chief Secretaries : নাগরিকদের সুরক্ষায় রাজ্যের মুখ্যসচিবদের ‘ফ্রি হ্যান্ড’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ মে : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে (Home Ministry to Chief Secretaries)। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাঁরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা পাবেন, যা সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবার একটি চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দিয়েছে, যা প্রশাসনিক স্তরে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক হবে। এই সিদ্ধান্তটি বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।

উল্লেখযোগ্য যে, গত ৭ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছে।

এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদান প্রশাসনিক স্তরে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, তবে এর প্রয়োগ হবে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত, যাতে অপ্রয়োজনীয় ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করা যায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের জরুরি ক্ষমতা প্রদান করেছে। এই ক্ষমতা তাদেরকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জনগণ ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি দেয়। ফলে, প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষা ছাড়াই বাস্তবায়িত হবে। এই পদক্ষেপটি সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।

ভারতীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে, যা ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ নম্বর ধারার অধীনে আসে। এই ক্ষমতার মাধ্যমে তাঁরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।

এই ক্ষমতার আওতায়, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব ও প্রশাসকরা নিম্নলিখিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন:-

১)জনতা ও সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ।

২) জরুরি পরিষেবা চালু রাখা: জল, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ।

৩) অসামরিক প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে মানতে হবে না নিয়ম।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যা সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

Comments are closed.