পাক হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত! মহড়া ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের

15

ডিজিটাল ডেস্ক, ২ মে: জাতীয় সড়কের উপর নির্মিত রানওয়েতে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ ও উড়ানের মহড়া চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর তৈরি হওয়া উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্রে এই ধরনের এয়ারস্ট্রিপের তাৎক্ষণিক ব্যবহারের প্রস্তুতি হিসেবেই এই অনুশীলন বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের সহারণপুরে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উপর তৈরি ওই বিশেষ এয়ারস্ট্রিপে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান সফলভাবে অবতরণ এবং উড়ান সম্ভব হচ্ছে।

যুদ্ধকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে চিন ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য আগ্রাসনের মোকাবিলায় প্রস্তুতি হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জাতীয় সড়কের উপর বিশেষ রানওয়ে তৈরি করেছে সরকার। এই রোড রনওয়েগুলিতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার সফলভাবে উড়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস এবং যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ এমকেআই। এই রণকৌশল মূলত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মূল ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিকল্প অবতরণ ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা ও রাজধানী লখনউকে সংযুক্তকারী গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। এই এক্সপ্রেসওয়েতে জাতীয় সড়কের উপর রানওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি, দেশের প্রতিরক্ষা কৌশলে আরও এক ধাপ এগিয়ে সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্মীয়মাণ সড়ক ও সুড়ঙ্গগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলিকে ‘বহুমুখী টানেল’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে অস্ত্র ও সামরিক রসদ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এই কৌশলগত উদ্যোগ বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (BRO)।

Comments are closed.