ডিজিটাল ডেস্ক ১৩ই জুলাইঃ আধার কার্ড কি আদৌ পরিচয়পত্র? এই প্রশ্নই উঠছে বারবার। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সংশোধন এবং তাতে পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড বাদ দেওয়ার পরই যাবতীয় চর্চা শুরু হয়েছে। তবে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির দাবি, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়ায় আধার, ভোটার এবং রেশন কার্ড গ্রহণ করতে বাধ্য কমিশন(Indentity Theory)।
নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলার আবেদনকারীদের মূল আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আইনি ব্যাখ্যা করে দাবি করেন, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়ায় আধার, ভোটার এবং রেশন কার্ড গ্রহণ করতে বাধ্য কমিশন।
আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড গ্রহণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে বলে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিংভির ব্যাখ্যা, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের পর কোনও পরিস্থিতিতেই আধার, ভোটার এবং রেশন কার্ড প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।
একইসঙ্গে, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি বলে যে প্রচার চলছে, তাও ভুল বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর দাবি, শুনানি সবে শুরু হয়েছে। মূল শুনানি হবে ২৮ জুলাই। এই সময় বা তার পরে স্থগিতাদেশের বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিবিড়ভাবে সংশোধন যুক্তিহীন নয়, তবে এই সংশোধনীর সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশোধনী নিয়ে সমস্যা নয়, সমস্যা তার সময় নিয়ে।
বিচারপতি ধুলিয়া বলেছিলেন, “এই প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যা নেই..শুধুমাত্র যে ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে নির্বাচনের আগে, তিনি নিজের সপক্ষে যুক্তি দেওয়ার সময় পাবেন না। নির্বাচনী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেলে আদালত তা আর স্পর্শ করবে না…অর্থাৎ কোনও ব্যক্তির নাম বাদ পড়লে তিনি নির্বাচনের আগে তা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।”