ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ মে : প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই অভিবাসীদের নাগরিকত্ব যাচাই করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে (India Bangladesh News)।
রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশকে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী অভিবাসীদের নাগরিকত্ব যাচাই করতে বলা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের কাছে ২ হাজার ৩৬৯ জনের তালিকা রয়েছে, এবং তাঁদের বহিষ্কার করা হবে।” পরে তিনি আরও বলেন, “যে কোনও বিদেশি যদি অবৈধভাবে এদেশে বসবাস করে, তা বাংলাদেশি হোক বা অন্য দেশের নাগরিক, আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁদের বহিষ্কার করা হবে। আমাদের কাছে বাংলাদেশি অভিবাসীদের যে তালিকা রয়েছে, তাঁদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে।”
রণধীর জয়সওয়াল আরও জানান, ২০২০ সাল থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। তাঁদের মধ্যে অনেকে ভারতে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, তবে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম এখনো সম্পন্ন হয়নি। এ কারণে এবার বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে এই অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র থেকে বহু বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে অনেককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত মাসে ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়, আর গত বুধবার ফেরত পাঠানো হয় ১০৯ জনকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে ধরপাকড় অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এবার মোদি সরকার প্রায় ২৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।