INDIA-BANGLADESH TRADE: বাংলাদেশকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত
INDIA-BANGLADESH TRADE: উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে বেজিঙে বসে মুহাম্মদ ইউনুসের মন্তব্য ঝড় তুলেছিল দেশে। এবার বাংলাদেশকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত। পূর্ব ভারতের সব স্থল বন্ধর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাক, খাদ্য সামগ্রী আমদানি বন্ধ করে দিল নতুন দিল্লি। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিকল্প রুটও বেছে নিল ভারত সরকার।
‘উত্তর-পূর্ব ভারতের নেই কোনও নৌ-বন্দর’
‘আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক’ বেজিং-এ বসে এই মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস। এবার সেই মন্তব্যের জবাব দিল ভারত।
কলকাতা-মায়ানমার হয়ে হচ্ছে উত্তর-পূর্বের নতুন রুট
কলকাতা, বিশাখাপত্তনম থেকে জাহাজে মায়ানমারের সিত্তে বন্দরে যাবে পণ্য
সিত্তে বন্দর থেকে সড়কপথে সংযুক্ত হবে মিজোরাম
ফলে বাংলাদেশকে বাইপাস করেই উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য নতুন রুট খুঁজে নিল নতুন দিল্লি। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তোরজোড়। আর এই প্রকল্পের অন্যতম অংশ হচ্ছে, বরাপানি-পাঁচগ্রাম এক্সপ্রেস হাইওয়ে
শুধু বিকল্প রুট নয়, বাংলাদেশের দর্পচূর্ণ করতে বড় ঘোষণা নতুন দিল্লির। ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এখন থেকে ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের স্থল বন্দর দিয়ে বন্ধ হল বহু বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি
বাংলাদেশি পোশাক, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, কেক, চিপ্স বা স্ন্যাক্স, তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রক শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে একথা জানিয়েছে।
ভারতের এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক শিল্প ও প্রাণের মতো সংস্থাগুলি
বছরে লোকসান হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক এখন শুধুমাত্র কলকাতা ও মুম্বই বন্দর দিয়েই ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। ভারতের এই জোড়া সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে বিপাকে পড়েছে ইউনুস সরকার। ভারতের এই সিদ্ধান্তে দেউলিয়া হতে পারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প।
Comments are closed.