ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ মে: পহেলগাঁও সন্ত্রাসকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক সেই সময় আবারও নিয়ন্ত্রণরেখায় উসকানিমূলক আচরণ করল পাকিস্তান। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা ১২ দিন ধরে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সোমবার রাতেও কুপওয়াড়া, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নৌসেরা, সুন্দেরবনি এবং আখনুরে ভারতীয় সেনা ছাউনিগুলির লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। পাকিস্তানের এই বারবারের কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দিতেও সময় নেয়নি ভারতীয় সেনা—উপযুক্ত পালটা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে (India Pakistan News)।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা করে কেন্দ্র। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধসহ আরও বেশ কিছু কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর পর থেকেই সীমান্তে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ২২ এপ্রিলের ঘটনার ঠিক দুই দিন পর, ২৪ এপ্রিল থেকে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। গত কয়েক দিনে কুপওয়াড়া, আখনুর, বারামুলা-সহ একাধিক সীমান্ত সেক্টরে দফায় দফায় গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পাক আগ্রাসনের উপযুক্ত ও কঠোর জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
পাকিস্তানের তরফে লাগাতার গুলি চালানোর নেপথ্যে কৌশলগত উদ্দেশ্য স্পষ্ট বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, উপত্যকায় সেনার তৎপরতা শুরু হওয়ার পর জঙ্গিদের নিরাপদে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এই হামলার পরিকল্পনা করেছে পাক সেনা। সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীকে গোলাগুলিতে ব্যস্ত রেখে, তাদের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে পাকিস্তান, যাতে সামান্য অসতর্কতার সুযোগে জঙ্গিরা এলাকা ছাড়তে পারে। তবে এই সম্ভাবনা মাথায় রেখে কড়া নজরদারি ও পালটা প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় সেনাও, যাতে কোনওভাবেই জঙ্গিরা পালাতে না পারে।