ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ মে: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (India Pakistan Tensions Airport)। সিআরপিএফসহ অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা সিআইএসএফ আধিকারিক-সহ বিমানবন্দর কর্মীদের জরুরি নোটিশ দিয়ে কাজে ফেরার নির্দেশ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছে এবং নিরাপত্তা চেকিং আরও কঠোর করা হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী “অপারেশন সিঁদুর” চালিয়ে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে আক্রমণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, সিয়ালকোট, ভিম্বের, কোটলি ও মুজফফরাবাদ। ভারতীয় সেনা দাবি করেছে, এই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় সেনার ৩টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে ।
ভারতের হামলার পর পাকিস্তানও পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাবর্ষণ করেছে, যার মধ্যে কুপওয়ারা, নৌসেরা, সুন্দেরবানি, উরি ও আখনুর সেক্টর উল্লেখযোগ্য। ভারতীয় সেনা তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় নৌবাহিনী করাচি বন্দরে হামলা চালিয়েছে। ৮ থেকে ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় সেনার ৩টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে ।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামবাদেও বড়সড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে ।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, “অপারেশন সিঁদুর”-এ ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় সেনার ৩টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে ।
এই উত্তেজনার মধ্যে, ভারতের ২৪টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আমritসর ও শ্রীনগর। পাকিস্তানও তার আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছিল, তবে বর্তমানে পুনরায় ফ্লাইট চালু করেছে ।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজা কাল্লাস ও ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানের আগ্রাসী আচরণ সহ্য করবে না এবং প্রয়োজনে কড়া জবাব দিতে পিছপা হবে না ।
কলকাতা বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ডিআইজি, সিআইএসএফ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন বিমান সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে সিআইএসএফের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং যারা বর্তমানে ছুটিতে আছেন, তাদের জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেটের বাইরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িগুলোকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যেতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে।