ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে স্পষ্ট বার্তা দেন, “ওরা গুলি চালালে, আমরা গোলা ছুঁড়ব।” গতকাল পাকিস্তানের অনুরোধে ভারত সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়, যেখানে আমেরিকা মধ্যস্থতার ভূমিকা নেয়। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, মোদি তখনই সতর্ক করে দেন যে যদি পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে ভারত কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং পাল্টা জোরালো জবাব দেওয়া হবে (India Pakistan Tensions Modi)।
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি হলেও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গতকালই এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। শনিবার কার্যত ইসলামাবাদের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় নয়াদিল্লি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তান ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই সন্ধিপ্রস্তাব দেয়, যা আমেরিকার মধ্যস্থতায় ভারত গ্রহণ করে।
ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “গোটা রাত ধরে দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুই দেশ সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তববুদ্ধির প্রয়োগ করার জন্য উভয় পক্ষকে শুভেচ্ছা।”এছাড়া, তিনি কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
ষোলো ঘণ্টা আগে তিনিই প্রথম বিশ্বকে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির খবর জানান। এবার সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই দুই দেশের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ভারত বরাবরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে কাশ্মীর তার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই বিষয়ে কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতি কী প্রতিক্রিয়া জানাবে, সে দিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।
নিজের সোশাল মিডিয়া ‘ট্রুথ’-এ ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী নেতৃত্ব নিয়ে আমি গর্বিত। তাঁরা দৃঢ়তা, জ্ঞান ও শক্তির মাধ্যমে উপলব্ধি করেছেন যে এই মুহূর্তে সংঘর্ষ থেকে সরে আসাই শ্রেয়। চলতে থাকলে আরও মৃত্যু ও ধ্বংসের সম্ভাবনা তৈরি হতো, যার ফলে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষের জীবন সংকটে পড়তে পারত।”
পাশাপাশি তিনি লেখেন, “আমি গর্বিত যে আমেরিকা আপনাদের এমন ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পেরেছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি, তবে আমি এই দুই মহান দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে চাই। এছাড়া, আমি আপনাদের দু’জনের সঙ্গে কথা বলে দেখতে চাই, ‘হাজার বছর পরে’ কাশ্মীর সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান সম্ভব কিনা। ঈশ্বর ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বকে আশীর্বাদ করুন, যাতে তারা এই কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।”
Comments are closed.