ফের প্রত্যাঘাত! পাকিস্তানি বিমানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশসীমা

7

ডিজিটাল ডেস্ক, ১ মে: ভারতের আকাশসীমা নিষিদ্ধ করা হল পাকিস্তানি বিমানের জন্য। পহেলগাঁও হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের উপর আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ঘটনার ছ’দিন পর পাল্টা পদক্ষেপ নিল ভারত। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, আপাতত ২৪ মে পর্যন্ত কোনও পাক যাত্রীবাহী বা সামরিক বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও এক ধাপ বাড়ল।

২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া বাকি সবাই জম্মু ও কাশ্মীরে ভ্রমণে আসা পর্যটক ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, এই বর্বর হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত। ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যেমন সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখা, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা এবং দুই দেশের দূতাবাসে কর্মীসংখ্যা কমানো। জবাবে পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে না।

তবে এতদিন পাকিস্তানি বিমানগুলির জন্য ভারতের আকাশসীমা খোলা ছিল। যদিও প্রশাসনের অভ্যন্তরে এই নিয়ে আলোচনা চলছিল—পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করা হবে কি না। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় যে, পাকিস্তানের কোনও বিমান আর ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। এই নির্দেশিকা ৩০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে এবং আপাতত ২৪ মে পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ভারতের আন্তর্জাতিক বিমানগুলিকে বিকল্প রুটে উড়তে হচ্ছে, যার ফলে প্রতি ফ্লাইটে গড়ে দেড় ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। এতে জ্বালানি খরচসহ অন্যান্য ব্যয়ও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। হিসাব অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত খরচ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা, যা মাসে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। এবার সেই একই ধরনের ভোগান্তির মুখে পড়বে পাকিস্তানের উড়ান সংস্থাগুলিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টানাপোড়েন দীর্ঘস্থায়ী হলে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হবে উড়ান সংস্থাগুলি।

Comments are closed.