India-US Business:মোদীর নতিস্বীকার মার্কিন প্রসাশনের কাছে ! ভবিষৎবাণী রাহুলের

11

ডিজিটাল ডেস্ক ৫ই জুলাইঃ কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি উড়িয়ে দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার তিনি বলেন,‘‘পীযূষ গয়াল বুক চাপড়ে যা খুশি দাবি করতে পারেন। আমার কথা মনে রাখবেন,ট্রাম্পের শুল্ক ছাড়ের সময়সীমার কাছে নতি স্বীকার করবেন মোদী(India-US Business)।’’

এই মন্তব্যের জবাবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন,দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত না হলে কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে সই করবে না ভারত। তাঁর কথায়,“চুক্তি হওয়া উচিত উভয়পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে। চাপে পড়ে নয়।” রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ-টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তিনি লিখেছেন,“পীযূষ গোয়েল যতই বুক ঠুকে বলুন না কেন,মোদী ট্রাম্পের শুল্কের সময়সীমার কাছে মাথা নিচু করতেই বাধ্য হবেন।”

চুক্তি আটকে কোথায়?

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতকে বহুদিন ধরেই আখ্যা দিচ্ছেন ‘ট্যারিফ কিং’হিসেবে। চলতি বছরের ২ এপ্রিল তিনি ঘোষণা করেন,‘লিবারেশন ডে ট্যারিফ’এর আওতায় ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক বসবে। আপাতত ৯০ দিনের জন্য সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোনও চুক্তি না হলে ফের কার্যকর হবে ওই শুল্ক।

ভারতের তরফে আপাতত যেসব বিষয়ে আপত্তি রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান হলো কৃষিজ পণ্যে শুল্ক ছাড়। মার্কিন মাছে, ভুট্টা, সয়াবিন ইত্যাদির আমদানিতে ছাড় দিতে নারাজ ভারত। সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ভারত যেন আমেরিকান দুগ্ধ শিল্পের জন্য বাজার আরও উন্মুক্ত করে। কিন্তু ভারতে ৮ কোটিরও বেশি মানুষ যেহেতু এই ক্ষেত্রে কাজ করেন, সেই কারণে ভারত সরকার কোনও ছাড় দিতে নারাজ।

অন্যদিকে ভারত চাইছে,রফতানির ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারে আরও প্রবেশাধিকার বিশেষ করে বস্ত্র, রত্ন ও গহনা, চামড়া এবং রাসায়নিক পণ্যে।এই টানাপোড়েন মেটাতে ভারতীয় আলোচনাকারী দল, বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে,আমেরিকায় তাঁদের সময়সীমা বাড়িয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।

জুনের শেষ সপ্তাহে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলার পরে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ভারত। পীযূষের মন্তব্য, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিউজিল্যান্ড,ওমান,আমেরিকা,চিলি,অথবা পেরু,অনেক দেশের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে।’’ ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আমেরিকার সঙ্গে ফলপ্রসূ হবে কি না সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নরেন্দ্র মোদী সরকারর বাণিজ্যমন্ত্রীর জবাব,‘‘একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তখনই হয়, যখন পারস্পরিক সুবিধা থাকে। যখন ভারতের স্বার্থরক্ষা করে চুক্তিটি করা হয়। জাতীয় স্বার্থকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত সর্বদা উন্নত দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত।’