Inhuman Pakistan : অমানবিক পাকিস্তান! ২২৭ যাত্রী নিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভারতীয় বিমান, তবু আকাশসীমা ব্যবহারে ‘না’ পাকিস্তানের
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ মে : প্রবল ঝড়ের কবলে পড়া শ্রীনগরগামী ইন্ডিগো বিমানের জন্যও নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান! বুধবার দুর্ঘটনার মুখে পড়া উড়ানটিকে পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। ইন্ডিগো বিমানসংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই বিমানটির বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল (Inhuman Pakistan)।
বুধবার শ্রীনগরের কাছাকাছি পৌঁছনোর পর প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে ২২৭ জন যাত্রীবাহী একটি ইন্ডিগো উড়ান। মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর ঝঞ্ঝার মধ্যে পড়ে বিমানটি প্রবলভাবে দুলতে শুরু করে। শিলাবৃষ্টির আঘাতে উড়ানের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, একপাশে তৈরি হয় গর্ত। এর ফলে বিমানের ভিতরে তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়, যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একের পর এক ভারী শিলার আঘাতে বিমানের কাঠামো আরও বিপর্যস্ত হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এই ভয়াবহ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
প্রবল প্রতিকূলতার মুখে পড়ে, উড়ানের পাইলট পরিস্থিতি সামাল দিতে লাহোর বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পাক আকাশসীমায় সাময়িক প্রবেশের অনুমতি চান। কিন্তু লাহোর এটিসি সেই অনুমতি অস্বীকার করে, ফলে পাইলটকে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আবহাওয়ার মধ্যেই বিমান পরিচালনা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি দক্ষতার সঙ্গে উড়ানটি শ্রীনগর বিমানবন্দরে নিরাপদে নামাতে সক্ষম হন। তবে শিলাবৃষ্টির তীব্র আঘাতে বিমানটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পরদিন ইন্ডিগো বিমানসংস্থা জানায়, লাহোরে সাময়িকভাবে অবতরণ করতে না পারার কারণেই সমস্যার মাত্রা বেড়ে যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই বিমানে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মমতাবালা ঠাকুর, নাদিমুল হক ও সাগরিকা ঘোষ। পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই দলটি কাশ্মীরে গিয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই দলীয় প্রতিনিধি ২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করবে। এরপর তাঁরা দেশে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাদের পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট পেশ করবেন। এই সফরের মূল লক্ষ্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা করা।
Comments are closed.