ISL On Hold : আপাতত স্থগিত থাকছে আইএসএল!

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুলাই : আয়োজক সংস্থা ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল) ক্লাবগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ২০২৫-২৬ মরশুমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে (ISL On Hold)। এর কারণ হিসেবে এফএসডিএল জানিয়েছে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সঙ্গে তাদের ‘মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট’ (এমআরএ) নবীকরণের বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিততা নেই। উল্লেখ্য, এফএসডিএল ও এআইএফএফের এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর। এতদিন যা নিয়ে জল্পনা চলছিল, এবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল এফএসডিএল। ফলে আগামী আইএসএল মরশুম ঘিরে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।

এফএসডিএল তাদের চিঠিতে জানিয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা ২০২৫-২৬ মরশুম পরিচালনার অবস্থায় নেই। যতক্ষণ না নতুন চুক্তি সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট দিকনির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ এই প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বহু দিক বিবেচনা করেই তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং যাতে তারা নিজেদের পরিকল্পনা স্বতন্ত্রভাবে করতে পারে, সেই কারণেই সবাইকে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

২০১০ সালে এআইএফএফের সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে এফএসডিএল। এই চুক্তির আওতায় ফেডারেশন প্রতিবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকা পায়, যা তাদের দৈনন্দিন খরচ ও বিভিন্ন লিগ আয়োজনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বর্তমান পরিস্থিতিতে এআইএফএফ ‘মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট’ (এমআরএ) স্বাক্ষর করতে পারবে না। যতদিন না ফেডারেশনের সংবিধান চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হচ্ছে, ততদিন এই প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন কমিটি গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে, এবং সেই নতুন কমিটিই ভবিষ্যতে এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তিতে সই করতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়ায় বেশ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা।

সূত্রের খবর, পরিস্থিতি ইতিবাচক মনে করে অনেক ক্লাব ইতিমধ্যেই ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু এফএসডিএলের সাম্প্রতিক চিঠির পর সব কিছুই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ইস্টবেঙ্গলের মতো কিছু ক্লাব একাধিক ফুটবলারের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় পৌঁছেও শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে সই করেনি, ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কথা ভেবে। যেসব ফুটবলারের সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে ‘ফোর্স ম্যাজেউর’ ধারা প্রয়োগ করে তা বাতিল করার পথ খোঁজা হতে পারে।