Jyoti Malhotra At Pak-Afghan Border : নিষিদ্ধ পাক আফগান সীমান্তে কি করছিল জ্যোতি? কি করে এই এলাকায় পৌঁছলেন জ্য়োতি?

5

ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ মে : ভারতের হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একটি বিশাল গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তিনি ভ্রমণবিষয়ক ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, তদন্তে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে যে তিনি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন—একটি এলাকা যা সাধারণত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

পাকিস্তানে গিয়ে ১ মাস ছিলেন জ্য়োতি, উঠে আসছে নানা প্রশ্ন, পাক-আফগান বর্ডার এলকায় পৌঁছে গিয়েছিল জ্য়োতি (Jyoti Malhotra At Pak-Afghan Border), পাক-আফগান বর্ডার এলাকা সন্ত্রাসের কবলে, সেখানেও কিচ ছিল জ্য়োতির কনট্য়াক্ট? পাক আফগান বর্ডার এলাকায় আম নাগরিক এবং পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ! কী করে এই এলাকায় পৌঁছলেন জ্য়োতি? ISI-এর মদতেই কি KPK-তে জ্য়োতি?

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়টি হল, প্রথমে জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মকর্তা এহসান দার ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছিলেন। উল্লেখ্য, পহেলগাম হামলার পর ১৩ মে দানিশকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে, তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে একাধিক গোপন চ্যাট হয়েছিল, যা পরে মুছে ফেলা হয়। মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষায় এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বর্তমানে জ্যোতি মালহোত্রা পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এনআইএ, আইবি এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ তদন্ত দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তকারীদের মতে, তিনি বিভ্রান্তিকর উত্তর দিয়ে জেরা এড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছেন।

পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের একজন জ্যোতি মালহোত্রা। আইএসআই কৌশলগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করছিল, শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নয়, বরং পাকিস্তানের স্বার্থে অনুকূল প্রচার চালানোর দায়িত্বও দিয়েছিল অভিযুক্তদের।

গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই বার্তালাপের মধ্যে সেনা সংক্রান্ত গোপন তথ্য বা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী থাকতে পারে। এই ঘটনার পর, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ভারতে সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। তদন্ত এখনও চলছে।

Comments are closed.