Kasba College Reopen : গার্ডরুম ও ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখে সোমে খুলতে পারে কসবা আইন কলেজ

7

ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুলাই : আলিপুর আদালতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আগামী সোমবার থেকে ফের চালু হতে পারে কলেজের পঠনপাঠন (Kasba College Reopen)। তবে গার্ডরুম ও ইউনিয়ন রুম আপাতত বন্ধই থাকবে। ঘটনাস্থল এখনও ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে সিল করা আছে, তাই সেভাবেই ঘেরা থাকবে এলাকা এবং কলেজ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধ্যক্ষ ইতিমধ্যেই গভর্নিং বডির সঙ্গে কলেজ খোলার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা সেরেছেন। সোমবার ফের বসতে চলেছে গভর্নিং বডির বৈঠক। এদিকে, শিক্ষাদপ্তরও এই বিষয়ে একটি বৈঠক করে ফেলেছে। গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে শুক্রবার ভোর চারটেয়, চার অভিযুক্তকে নিয়ে কসবা কলেজে পৌঁছান সিট সদস্যরা। চলে প্রায় চার ঘণ্টার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। এরপর ধৃতদের নিয়ে তদন্তকারীরা যান লালবাজারে। কলেজের গার্ডরুম ও ইউনিয়ন রুমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থ্রি-ডি ম্যাপিং করা হয়েছে।

গত ২৭ জুন, শুক্রবার সকাল থেকেই তোলপাড় শুরু হয় কসবা আইন কলেজ চত্বর। অভিযোগ, ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যায় এক ছাত্রীকে কলেজে আসতে বলা হয়, এবং সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর তিনজন তাঁর উপর চড়াও হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় এবং কাউকে কিছু বললে পরিণামের হুমকিও দেওয়া হয়। পরদিন নির্যাতিতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কসবা থানায়। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু করেন বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) পাঁচজন সদস্য। বর্তমানে সেই দলে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ন’জন করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে নির্যাতিতা ছাত্রী এবং তিন অভিযুক্তের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

কসবা আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। জানা গিয়েছে, ওই রাতে তোলা ভিডিওগুলি একটি নির্দিষ্ট সোশাল মিডিয়া গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছেছে। গ্রুপে থাকা সদস্যদের মধ্যে রয়েছে মনোজিৎ, জায়েব, প্রমিত এবং মনোজিতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। পুলিশ এখন ওই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে, এবং সম্ভাব্যভাবে তাঁদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হবে—জানার জন্য যে কেউ ভিডিও বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছে কি না। অভিযুক্তদের কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইউনিয়ন রুম ও গার্ডরুম-সহ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে তারা। গোটা ঘটনায় পরিস্থিতির তীব্রতা ও গুরুতরতা উপলব্ধি করে কলেজের গভর্নিং বডি অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বস্ত করেছেন, কসবা আইন কলেজ খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই আগামী সোমবার থেকেই ক্লাস শুরু হতে পারে—এমন সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে।