Maheshtala Drone : মহেশতলার ‘সন্দেজনক বাড়ি’ থেকেই উড়ছে ড্রোন? ওপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই কেন বাড়িটিতে বাড়ল তৎপরতা?
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ মে : জানা যাচ্ছে মহেশতলার বোগানোয়া পাড়া থেকে আকাশে সন্দেহজনক ড্রোন দেখা যাচ্ছে (Maheshtala Drone)। অভিযোগ ২০১৬ সালে জমি কিনে সেখানে থাকা শুরু করেন রাশিদুল হাসান নামে এক ব্যক্তি। তবে নিজের বাড়িতে তাঁকে খুব একটা দেখা যেত না। ওই ব্যক্তির প্রতিবেশীর অভিযোগ অপারেশন সিঁদুরের পর হঠাৎ করেই তাঁর এই বাড়িতে যাতায়াত বেড়েছে। আসছে একের পর এক দামী গাড়ি। গোটা বাড়ি মুড়ে ফেলা হয়েছে ২০ থেকে ২৫টি সিসি টিভি ক্যামেরায়।
আরও জানা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যেবেলা উড়ছে ড্রোন। ওই ব্যক্তির প্রতিবেশীর অভিযোগ রাশিদুল হাসান নামে ওই ব্যক্তি একজন বাংলাদেশি এবং তিনি সন্দেহজনক কার্যকলাপ করছেন অপারেশন সিঁদুর হওয়ার পর থেকে। এই নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় থানায়, ডেপুটি কমিশনারের দফতরে, কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং ডিজির কাছে। অভিযোগ পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আর্জি জানান আইনজীবী অর্ক চৌধুরী। সেই আর্জি গ্রহণ করেন বিচারপতি। ভ্যাকেশন বেঞ্চে ২৮মে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার গভীর রাতে মহেশতলা ও বেহালা থেকে সাতটি ড্রোন কলকাতার আকাশে প্রবেশ করে। প্রথমে সেগুলো হেস্টিংস এলাকায় ঘোরাফেরা করে, যেখানে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও ফোর্ট উইলিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। এরপর চারটি ড্রোন ময়দান সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দিকে যায় এবং কিছুক্ষণ ওখানে চক্কর কাটে। পরে, জওহরলাল নেহেরু রোডের একটি বহুতলের আশপাশে তাদের দেখা যায়। এরপর পাঁচটি ড্রোন পূর্ব দিকে, পার্ক সার্কাসের দিকে চলে যায়, আর বাকি দুটি উত্তর কলকাতার দিকে উড়ে যায়। প্রথমে হেস্টিংস থানার পুলিশ এই ড্রোনগুলিকে উড়তে দেখে লালবাজারকে বিষয়টি জানায়, তারপর সতর্ক করা হয় ময়দান-সহ অন্যান্য থানাগুলিকে। রাতে ড্রোনগুলোর মাধ্যমে গোপনে ছবি তোলার কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও শেষ পর্যন্ত এই ড্রোনগুলি কোথায় গায়েব হয়ে গেল, তা জানতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। ড্রোন পাঠানোর পেছনে কোনো গোয়েন্দাগিরির উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা বোঝার চেষ্টাও চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
Comments are closed.