ডিজিটাল ডেস্ক ১৭ই জুলাইঃ মুখ্যমন্ত্রীর বারংবারই ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে গর্জে উঠেছে আগেই। বুধবার সন্ধ্যায় চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যাতে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমায়। কিন্তু সে আর কোথায় ? গতকাল আবারও বাঙ্গালির বাঙ্গালিত্বর উপর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আঘাত হানার বিরুদ্ধে কলকাতার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তীব্র সুর চড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ডিভিসির জল ছাড়া নিয়েও তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তারপরই আজও ডিভিসি থেকে জল ছাড়া অব্যাহত আছে। এর আগে গত মঙ্গলবারই ডিভিসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । তিনি আগেই জানিয়েছিলেন গত ১৮ জুন থেকে ২৭ হাজার লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছেড়েছে ডিভিসি। এ বছর বেশি জল ছাড়া হচ্ছে বলেও সরব হন তিনি(Mamata Banerjee On DVC)।
আজকে ফের মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হয়েছে এবং নদীর তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর ডিভিসি মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে যথাক্রমে ১২,৫০০ কিউসেক এবং ৩৫,৫০০ কিউসেক জল ছাড়ছে। বর্তমানে ডিভিসি জলাধার থেকে মোট ৪৮,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে ডিভিসির ছাড়া জলে খানাকুলে দুর্ভোগ অব্যাহত। রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলে প্লাবন পরিস্থিতিতে জল যন্ত্রণার ছবি বহু গ্রামে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খানাকুলের মাড়োখানা পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অংশ। জমির ফসল কয়েকদিন আগেই জলের তলায় চলে গেছে। ঘরবাড়ি,রাস্তাঘাটের পাশাপাশি ডুবেছে স্কুল। এরফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বহু একতলা বাড়ি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজার দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে একমাত্র ভরসা নৌকা ও পানশি। বেশকিছু গ্রামের রাস্তায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। কিছু জায়গায় মূল রাস্তায় ট্রাক্টরে চেপে পারাপার করছেন বন্যা কবলিত মানুষ।
ইতিমধ্যেই দুর্গত এলাকায় প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সেখানে দুর্গতদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলমগ্ন পরিস্থিতিতে কোথাও যাতে ইলেকট্রিক শটসার্কিটের মতো ঘটনা না ঘটে, তারজন্য বিদ্যুৎদপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। এদিকে জলমগ্ন পরিস্থিতি আর কদিন থাকবে, তা ভেবে রাতের ঘুম উবেছে এলাকার বাসিন্দাদের। তবে ত্রাণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বানভাসি মানুষের। তাঁদের অভিযোগ, এতদিন ধরে জলে ডুবে থাকলেও দেখা মেলেনি প্রশাসনের। ব্যবস্থা করা হয়নি ত্রাণ শিবিরের। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বানভাসি খানাকুলে।