ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুলাই : মঙ্গলবার সকালে এক সমাজমাধ্যম পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসী, যাঁর কাছে বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে, তাঁকে অসম সরকার ‘বিদেশি’ বা ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে হেনস্থা করছে। এই অভিযোগের মাধ্যমে তিনি সরকারের ভূমিকা নিয়েও কড়া প্রশ্ন তুলেছেন (Mamata Banerjee On NRC Notice)।
পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে সকল বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বার্তা, এখন সময় একযোগে রুখে দাঁড়ানোর।
এক্স-হ্যান্ডলে মঙ্গলবার দেওয়া একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “আমি হতবাক এবং গভীরভাবে বিচলিত, কারণ কোচবিহারের দিনহাটার রাজবংশী সম্প্রদায়ের বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসী, যিনি গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন এবং যাঁর বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে, তাঁকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল থেকে ‘বিদেশি’ বা ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সন্দেহ করে নোটিস পাঠানো হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই ঘটনা গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। তিনি অভিযোগ করেন, অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে—যেখানে তাদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই।
তিনি আরও দাবি করেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং তাদের টার্গেট করার উদ্দেশ্যেই এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, “এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক পরিকল্পনারই প্রমাণ—বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার এক গভীর অপচেষ্টা।”
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেন, “এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির এক ছাতার নিচে আসা এবং বিজেপির বিভাজন ও দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যদি ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলা নিরব দর্শক হয়ে থাকবে না—বাংলা প্রতিবাদের ভাষা জানে।”