Exclusive Mamata Banerjee on Puram Kumar Shaw : পাকিস্তানের হাতে আটক জওয়ান পূর্ণম সাউ-এর স্ত্রীর সাথে কথা মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন সাহায্যের আশ্বাস
ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান পাকিস্তানে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউয়ের স্ত্রী রজনী সাউ। ১০ মিনিট সময় চেয়েছেন তিনি। তার জন্য স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ জানিয়েছেন বিষয়টি দেখবেন। জওয়ানকে ফিরিয়ে আনতে শনিবার রাতে বিএসএফরের ডিজি ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ।
ঠিক এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বললেন পূর্ণম সাউয়ের স্ত্রী রজনী সাউ-এর সাথে। সবরকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে পরিবারের পাশে থাকার। স্ত্রী-এর থেকে পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা জানলেন। কোনও প্রয়োজন হলে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee on Puram Kumar Shaw)। একমাত্র NKTV Bangla-এর ক্যামেরাতে Exclusive এই কথোপকথন ধরা পড়েছে।
ভারত-পাক সংঘর্ষের ফলে জওয়ানদের ফিরে আসা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে শনিবার পাকিস্তানের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত। এবার পাকিস্তানের হাতে আটক হুগলির জওয়ান পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে তাঁর পরিবার।
পূর্ণমের স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে বলেন, “১০ মিনিটের জন্য কথা বলতে চাই। কল্যাণদাকে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে দেখা করতে পারবেন, তবে এখনও কোনও জবাব পাইনি।”
জওয়ানের বাবা বলেন, “দিদি বিষয়টি দেখুক। আমরা দেখা করতে চাই, ১০ মিনিটের বেশি সময় নেব না।”
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তাঁর ছেলে পাকিস্তানে আটকে আছে। তিনি বলেন, “২০ দিন ধরে ও সেখানে আটকে রয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, যেন দ্রুত তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। ছেলে ঘরে ফিরে আসুক, আবার সেনায় যোগ দিয়ে দেশের সেবা করুক।”
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। শনিবার সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আর পরিকল্পনার কথা নয়, এবার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, “গতকাল রাতে বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এছাড়াও পিএমও-র এক কর্মকর্তার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে, এবং তিনি জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হবে।
২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে পার্ক রেঞ্জার্সের হাতে আটক হন রিষড়ার বাসিন্দা, বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। এর আগের দিন পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়।
পূর্ণমের মুক্তির দাবিতে একাধিকবার ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এরই মধ্যে রাজস্থানে বিএসএফ এক পাক রেঞ্জার্সকে বন্দি করে, যা পূর্ণমের পরিবারের জন্য আশার আলো হয়ে ওঠে।
তবে ভারত-পাক সংঘর্ষ শুরু হতেই সেই আশা ম্লান হতে থাকে। এখন সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হওয়ায় পূর্ণমের পরিবার নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে।
Comments are closed.