Mamata On 21st July:বাংলা বললে হেনস্তা !একুশের মঞ্চে মমতার ভাষা আন্দলনের ডাক

ডিজিটাল ডেস্ক ২১শে জুলাইঃ একুশের মঞ্চ থেকে বাংলার বাইরে বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের তীব্র বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমি মরার জন্য তৈরি কিন্তু বাংলা ভাষার উপর কোনও অপমান-অসম্মান মানব না। একটা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে রেজাল্টটা দেখেছেন তো? মহারাষ্ট্রে মতুয়াদের উপর অত্যাচার করেছে। অসমে মা কালীর মন্দির ভেঙে দিলেন আর নির্বাচনের সামনে মা কালী- মা দুর্গার কথা মনে পড়ল?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের সভা থেকে আগামী ২৭শে জুলাই অর্থাৎ নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি ও রবিবার জেলায় জেলায় মিটিং-মিছিল হবে। নাগরিক সমাজকে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় আহ্বান জানালেন তিনি (Mamata On 21st July)।
একুশের মঞ্চে একটি কাগজ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাকি একটি করে সার্কুলার কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন কেউ হলেই সেই ব্যক্তিকে নাকি একমাস পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়। মমতা দাবি করেন, হাজার জন বাঙালিকে আটক করা হয়েছে। ওড়িশা, দিল্লিতে বাঙালিদের ওপর ‘অত্যাচার’ নিয়ে অভিযোগ করেন মমতা। মমতা বলে, ‘যাকে যাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক করা হয়েছিল, তাদের মামলা করে ছাড়িয়ে এনেছি আমরা। এরা বাংলা ভাষায় কথা বলত বলে।’
বাংলার আবেগ, বাঙালির গর্ব। এমন সোনাঝরা ভাষা আজ আক্রমণের মুখে! বাংলার বাইরে ‘মধুরতম’ ভাষায় কথা বললেই জুটছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা। দেশের মানুষকে দেশছাড়া করার তোড়জোড় চলছে। এবং বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি দেখে মনে করা হচ্ছে, সমৃদ্ধশালী বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে নতুন করে লড়াই শুরু প্রয়োজন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নেতাদের কর্মসূচি বেঁধে দিলেন তিনি। আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। ২৭ জুলাই থেকে নামতে হবে ময়দানে। প্রতি শনিবার ও রবিবার করে প্রতিটি জেলার সমস্ত স্তরের নেতাদের মিটিং-মিছিলের আয়োজনের নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর কথায়, এ লড়াই ভাষা বাঁচানোর লড়াই। এ লড়াই আমাদের লড়তে হবে।”
প্রসঙ্গত, এদিনের মঞ্চ থেকে বাঙালি হেনস্তা নিয়ে বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, জানেন বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস? তার যুক্তি, বাংলা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। নবজাগরণ হয়েছে এই বাংলা থেকেই। বাংলার মাটি দুর্বৃত্তদের হবে না। এরপরই হুঙ্কার ছেড়ে মমতা বলেন, “বাংলার মানুষকে যদি বাংলা বলার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়, এই লড়াই কিন্তু দিল্লিতে হবে। আমি ছাড়ার লোক নেই। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি।