Mamata On Niti Aayog’s Report : নীতি আয়োগের রিপোর্টে ‘এগিয়ে বাংলা’! সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর

9

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৪ জুলাই : কর্মসংস্থানে বড় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও রাজ্য এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে—এমনই তথ্য উঠে এসেছে নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক রিপোর্টে। এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ একটি বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এই অগ্রগতি বাংলার সম্মিলিত প্রচেষ্টারই ফল (Mamata On Niti Aayog’s Report)।

এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সংস্থা নীতি আয়োগ পশ্চিমবঙ্গের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিয়েছে। রাজ্যের সাম্প্রতিক সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, নীতি আয়োগ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্থসামাজিক সূচকে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে— যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কর্মসংস্থানে রাজ্যের সাফল্য।”

নীতি আয়োগের প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য—২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ২.২ শতাংশ। যা দেশের গড় বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। বেকারত্ব কমানো, যুব প্রজন্মের হাতে কাজ তুলে দেওয়া এবং গ্রামীণ মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে আরও সক্রিয় করে তোলার বার্তা তিনি বারবার দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে রাজ্যে চলছে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প—যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রুপশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি, যা ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে নজর কেড়েছে। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক রিপোর্ট সেই ধারাবাহিক উন্নয়নকেই আরও মজবুত ভিত্তি দিল বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। বিশেষ করে কর্মসংস্থানে বাংলার অগ্রগতি এই রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

নীতি আয়োগের রিপোর্টে উঠে এসেছে একাধিক ইতিবাচক পরিসংখ্যান, যা রাজ্যের সামগ্রিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ৭৬.৩ শতাংশ, যেখানে দেশের গড় সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। শিক্ষাক্ষেত্রেও রাজ্যের সাফল্য উল্লেখযোগ্য—দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি, পাশাপাশি স্কুলছুটের হার তুলনামূলকভাবে কম। ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর, যা দেশের গড় আয়ুর চেয়ে বেশি। প্রতি হাজার পুরুষে বাংলায় শিশুকন্যা জন্মের হার ৯৭৩, যেখানে জাতীয় গড় ৮৮৯। শিশুমৃত্যুর হারও কম—২০২০ সালের হিসেবে রাজ্যে প্রতি হাজারে মাত্র ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়। পানীয় জলের মতো পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রেও রাজ্যে উন্নতির ইঙ্গিত মিলেছে রিপোর্টে। এই সাফল্য প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ লেখেন, “এই ফলাফল রাজ্যের উন্নয়নের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতারই প্রতিফলন। রাজ্যের মানুষ এই সাফল্যের অংশীদার।” তিনি রাজ্যের প্রতিটি নাগরিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এই অগ্রগতির জন্য।