Nabanna Abhijan: পুলিশকে বিঁধলেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

71

ডিজিটাল ডেস্ক ২৭শে জুলাইঃ সোমবার ২৮ জুলাই মঙ্গলাহাটের দিন। আর ওই দিনই নবান্ন অভিযান করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ একাধিক সংগঠন। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতির পরও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ‘না’ পুলিশের। এনিয়ে এবার রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে বিঁধলেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । অভিযান রুখতে পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর(Nabanna Abhijan)।

বিকাশ বাবু বলেন সরকারি কর্মচারীদের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নবান্নের অভিমুখে যাবে। এটি সম্পূর্ণ সংবিধান সম্মত। সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে এই মিছিল। পুলিশের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। তবুও পুলিশকে জানানো হয়েছিল।’

সিপিএম নেতা আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিলটাকে আটকানোর জন্য আদালতে গিয়েছিলেন, তবে আদালতও সংবিধানিক অধিকার রক্ষার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। মিছিল বন্ধ করতে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।’

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিকাশবাবু। তাঁর কথায়, ‘এক্ষেত্রে পুলিশ অতি সক্রিয়। তাঁরা নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাইকোর্টের আদেশ পাঠাচ্ছেন। পুলিশ কি আদেশটিকে বিকৃত করার চেষ্টা করছেন?’

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্দেশে সিপিএম সাংসদের বার্তা, ‘সাহসের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ মিছিল করবেন। পুলিশ মিছিল আটকালে তাদের বিরুদ্ধে আইনভঙ্গের ব্যবস্থা করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। সেটি করতে পারলে আপানদের আন্দোলন সার্থক হবে।’

‘যে রাজ্যের পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলকে কলকাতা শহরের অন্দরে সভা করার অনুমতি দেয়, তাঁরা সরকারি কর্মচারীদের মিছিলে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। মিছিল হবে, এনিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।’ স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

সোমবার, ২৮ শে জুলাই মঙ্গলাহাটের দিনই নবান্ন অভিযান করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ একাধিক সংগঠন। তাই ব্যবসায়ে ক্ষতির আশঙ্কায় অভিযান বন্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। তবে আদালত শর্তসাপেক্ষে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিয়েছে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে বিঁধেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ । অভিযোগ, হাইকোর্টে মিথ্যে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

ভাস্কর স্পষ্ট বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট নবান্ন অভিযানে কোনও বাধা দেয়নি। বরং এই মামলা করে ভাল হয়েছে, পুলিশের দায়িত্ব বেড়েছে। তাঁর এও বক্তব্য, কলকাতায় এতদিনে এত মিছিল হয়েছে, কারও কোনও অসুবিধা হয়নি। এবারও হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। রুট বদল হলেও তাঁদের জমায়েতের এবং অবস্থানের জায়গা যে এক থাকবে, তা স্পষ্ট করেন তিনি।