পহেলগাঁও কাণ্ডের জের? জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের দায়িত্বে প্রাক্তন ‘র’ প্রধান

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল: পহেলগাঁও সন্ত্রাস ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে সাত বছর পর নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশী এই উপদেষ্টা পর্ষদের প্রধান হচ্ছেন। এত দিন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে একচ্ছত্র দায়িত্ব পালন করেছেন অজিত ডোভাল। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে তাঁর ভূমিকা কিছুটা সীমিত করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ছয় সদস্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদে মূলত অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও আইপিএস আধিকারিকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। সেই সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। উপদেষ্টা পর্ষদে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের তিন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকও আছেন— ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) পিএম সিংহ, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) একে সিংহ এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না।

অলোকের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএস অফিসার, রাজীবরঞ্জন বর্মা ও মনমোহন সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ’ সুরক্ষাবিষয়ক মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছে। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পর্ষদের কাজ হবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা। তবে সাত বছর পর হঠাৎ এই উপদেষ্টা পর্ষদের পুনর্গঠন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠিত হল।

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের জঙ্গিহানায় এখনও কোনো অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে বৈসরন উপত্যকায় হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর পর নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। উপত্যকা জুড়ে সেনা তৎপরতা চলছে। এই হামলায় পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লশকর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামরিক আধিকারিক ও গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। বুধবার তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Comments are closed.