Navy tests MIGM : শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি? ‘MIGM’ মারণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা নৌসেনার!

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ মে: পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদকে ঘিরে যখন যুদ্ধের উত্তেজনা চরমে, ঠিক তখনই সমুদ্রপথে শত্রুকে প্রতিহত করতে ভারতের নৌসেনা সফলভাবে পরীক্ষা করল এক নতুন মারণাস্ত্র। সোমবার, ভারতীয় নৌসেনা ও ডিআরডিও-র যৌথ উদ্যোগে সফলভাবে পরীক্ষিত হল মাল্টি ইনফ্লুয়েন্স গ্রাউন্ড মাইন (MIGM) (Navy tests MIGM)। সমুদ্র নিরাপত্তায় এই অত্যাধুনিক মাইন ভবিষ্যতে নৌবাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

জানা গিয়েছে, জলের নিচে যে কোনও ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে এই অত্যাধুনিক মাইন। বহুস্তরীয় সেন্সরযুক্ত মাল্টি ইনফ্লুয়েন্স গ্রাউন্ড মাইন (MIGM) জলের নিচে থাকা ডুবোজাহাজ ও শত্রুপক্ষের ভেসেলকে সহজেই শনাক্ত করতে পারে। এমনকি স্টিলথ প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজও এর নজর এড়াতে পারবে না—এই মাইন তার নাগালে এলেই প্রবল বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন শত্রুর নজর এড়াতে যেসব স্টিলথ জাহাজ কার্যকর ছিল, সেইসব জাহাজও এই মাইনের সনাক্তকরণ ক্ষমতার সামনে অসহায়। শীঘ্রই এটি ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌসেনার এই অত্যাধুনিক মাইন এমআইজিএম জাহাজ, সাবমেরিন, কো-অপারেটিভ ইউনিট এবং আন্ডারসি অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম থেকেও মোতায়েন করা সম্ভব। এর ফলে যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এটি নৌসেনার এক অপরিহার্য অস্ত্রে পরিণত হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত মহাসাগরে ক্রমবর্ধমান চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় এই মাইন অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি, পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত উত্তেজনায় যদি আরব সাগর থেকে কোনও ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সেই হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর প্রতিরক্ষা গড়তে সক্ষম হবে এমআইজিএম।

Comments are closed.