ডিজিটাল ডেস্ক, ২ মে: পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে পাক সেনা ও আইএসআই-এর সরাসরি ভূমিকা রয়েছে—এমনই বিস্ফোরক দাবি উঠেছে এনআইএ-র প্রাথমিক রিপোর্টে। তদন্তে জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তইবা, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মিলে এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে। সূত্রের খবর, এনআইএ যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে এই ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও ধরা পড়েনি ২৬ জন নিরীহ মানুষের হত্যায় জড়িত জঙ্গিরা। কাশ্মীরজুড়ে একাধিক অভিযান ও ধরপাকড় চললেও মূল অভিযুক্তদের এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে গত রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সরকারিভাবে এই হামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরই প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। এনআইএ যে রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে, তাতে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত তদন্তে উঠে এসেছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরন ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন জঙ্গি। তাদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানের নাগরিক, বাকি দু’জন কাশ্মীরের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে চারজনের স্কেচ প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। হামলাকারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে উঠে এসেছে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নাম। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই হামলার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে পাক সেনা এবং আইএসআই সক্রিয়ভাবে এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে অংশ নেয়। এনআইএ-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, হামলার নেপথ্যে কাজ করেছে অন্তত ২০ জন ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ (OGW), যারা এখনো কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে।
এনআইএ সূত্রের দাবি, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। শুধু তারাই নয়, ওই অঞ্চলে আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি অবস্থান করছে। তবে তারা মূল হামলাকারীদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্যই ওই এলাকায় অন্যান্য জঙ্গিরা অবস্থান করছে।
হামলাকারীরা যাতে সহজে ধরা না পড়ে, সেজন্য নিজেরা সঙ্গে করে প্রয়োজনীয় রসদও বহন করেছে। ফলে বেঁচে থাকার জন্য তাদের অন্য জঙ্গিদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। আপাতত তারা সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর এবং বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে।
Comments are closed.