ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুলাই : বর্ধমান জেলায় গোপনে পাকিস্তানের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (Pakistan Spy Arrested)। শনিবার গভীর রাতে দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে ধৃতদের আটক করা হয়। সোমবার অভিযুক্তদের কলকাতার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতদের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগসাজশ রয়েছে। সূত্রের দাবি, মোবাইল সিমকার্ডের ওটিপি ভাগাভাগির মাধ্যমে গোপন তথ্য পাচারের কাজ চলত। বর্তমানে এসটিএফের তদন্তকারীরা বিস্তারিত তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদে জোর দিয়েছেন।
রাজ্য পুলিশের এসটিএফের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ধৃতদের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশকুমার গুপ্তা। মুকেশের বাড়ি পানাগড়ের ক্যানেল রোডে, তিনি মেমারির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। রাকেশ থাকেন কলকাতার ভবানীপুরে এবং তিনিও একই সংস্থার আড়ালে চরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের অনুমান, তারা বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং সেখান থেকেই তাদের কার্যকলাপ চালাতেন। কীভাবে চলত এই গোপন অপারেশন? জানা গিয়েছে, তারা মোবাইল সিমকার্ডের ওটিপি শেয়ার করতেন, যার মাধ্যমে গোপন তথ্য পৌঁছে দেওয়া হত আইএসআই-এর কাছে। এই কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতেন তারা।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বর্ধমানে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সেই সময় একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধৃত মুকেশ রজককে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। অপর অভিযুক্ত রাকেশকুমার গুপ্তাকে গ্রেফতার করা হয় মেমারির একটি ভাড়াবাড়ি থেকে। শনিবার গভীর রাতে এই দুই ব্যক্তিকে আটক করার পর, সোমবার তাদের কলকাতার আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তারা এসটিএফের জিম্মায় রয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, এই দুই অভিযুক্তের পেছনে আরও বড় কোনো গুপ্তচর চক্র সক্রিয় রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সেই নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ্য জানতেই এখন মরিয়া এসটিএফ।