Pakistan’s Nuclear Attack:প্যাহেলগামকাণ্ডের আবহে পরমাণু অস্ত্রই ছিল শাহবাজের মগজে?

14

ডিজিটাল ডেস্ক ১৩ই জুলাইঃ ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত না হলে মরিয়া হয়ে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবতে পারে ইসলামাবাদ। অপারেশন সিঁদুর(operation sindoor) চলাকালীন এ আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছিল অনেকের মধ্যেই। কিন্তু সংঘর্ষবিরতি চুক্তির প্রায় দুমাস বাদে সেই আশঙ্কাকে স্রেফ অমূলক বলে দাবি করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র শান্তির জন্য, দেশের রক্ষার জন্য(Pakistan’s Nuclear Attack)। আগ্রাসনের জন্য নয়।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। তার পর গত ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। তার পর টানা চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সশস্ত্র সংঘাত চলেছে। ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় এই সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারত-পাক সংঘাত পরমাণু শক্তি প্রয়োগের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে বার বার এই দাবি করেছেন। পাক প্রধানমন্ত্রী সেই সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়েই দিলেন।

অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাক সেনার যখন নাস্তানাবুদ অবস্থা তখন মরিয়া হয়ে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবছিল ইসলামাবাদ। একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ১০ মে পাকিস্তানের পরমাণু বোমার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠকও ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের সামরিক ও অসামরিক শীর্ষকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা। পরে পাকিস্তান সে খবর অস্বীকার করে। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে চাপে পড়ে পাকিস্তান যে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল, পরে সে ইঙ্গিত মিলেছিল মার্কিন রাষ্ট্রপতির কথাতেও। দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় এই সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।

যদিও শাহবাজ শরিফ এসব মানতে নারাজ। শনিবার ইসলামাবাদে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, “পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুই শান্তির জন্য। দেশরক্ষার স্বার্থে। কোনওরকম আগ্রাসনের জন্য নয়।” লাগাতার সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “আমরা ক্ষেত্রীয় শান্তির পক্ষে। তাই কোনওভাবেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্ন ওঠে না।” শাহবাজ এদিন মেনে নিয়েছেন ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

‘সিঁদুর’ অভিযান এবং তৎপরবর্তী সংঘাতের পর ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে এসেছে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তারা। তবে ভারতের অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট। সীমান্ত সংঘর্ষ না থামালে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না নয়াদিল্লি। ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, তাঁর হস্তক্ষেপেই পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ সংঘর্ষ থামিয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘাত পরমাণু অস্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল বলে দাবি ট্রাম্পের। তবে ভারত বা পাকিস্তানের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।