ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে কী জবাব দেবে ভারত? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা ভারতে? এই আবহে আগামিকাল ফের হাইপ্রোফাইল বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান প্রমুখ। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর নিরাপত্তা প্রস্তুতি পর্যালোচনায় দ্বিতীয়বার বৈঠক বসছেন মোদি।
জানা গেছে, পহেলগাঁও হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি বৈঠকে বসবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বৈঠক করবে মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকতে পারেন পর্যটনমন্ত্রী নীতিন গড়করি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
এদিনের বৈঠকগুলি শেষে মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিও পৃথকভাবে বৈঠক করবে বলে জানা গেছে। সূত্রের মতে, এদিনের ধারাবাহিক আলোচনায় একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে সেই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও সামরিক পদক্ষেপ হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হন। এই বর্বর ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে পৌঁছেছে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত স্থগিত করেছে বহু পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি, পাশাপাশি ফেরত পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানি নাগরিকদের। নিষিদ্ধ করা হয়েছে একাধিক পাক টুইটার অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেল, যেগুলিকে প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এত কিছুর পরও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের কোনও বড় ঘোষণা করেনি।
Comments are closed.