ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ জুলাই : সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের ‘সতর্কীকরণ’ জারির পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বাংলা। মঙ্গলবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না। আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।”
এরই সঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় এ ধরনের কোনও ফতোয়া চলবে না।” তিনি আরও জানান, “যতক্ষণ না গুণমানে কোনও সমস্যা হচ্ছে, কে কী খাবে—সেই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গে হস্তক্ষেপ করা হবে না।”
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে (Politics On Samosa)। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জিলিপি, সিঙাড়ার মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করতে হবে।
নির্দেশ অনুযায়ী, ক্যান্টিনে বিক্রি হওয়া এমন খাবারে কতটা ক্যালোরি, চিনি ও ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে ক্যান্টিনে ঝোলানো হবে সতর্কতামূলক পোস্টারও। তবে সরকারের তরফে এই ধরনের খাবার বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়নি—শুধু সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা ঘিরে এবার সরব হল তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “সিঙাড়া-জিলিপির উপর কুনজর পড়েছে কেন্দ্রের। একের পর এক ফতোয়া জারি হচ্ছে।” তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের কোনও ফতোয়া মানা হবে না। গুণমান ঠিক থাকলে মানুষ কী খাবেন, তা নির্ধারণ করার অধিকার তাঁদের আছে। বাংলায় সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।” কুণালের আরও সংযোজন, “সিঙাড়া-জিলিপিতে এখন স্টিকার সাঁটা হচ্ছে! এসব কী হচ্ছে! যার যা ইচ্ছে, সে তাই খাবে—এটাই হওয়া উচিত।”