ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ জুলাই : সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে আজ হাজিরা দেওয়ার কথা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi Lucknow Court)। ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের বিষয়ে রাহুল দেশের জওয়ানদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর, উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীর দাবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য সেনাবাহিনীর প্রতি অবমাননাকর এবং সশস্ত্র বাহিনীর অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
লখনউয়ের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আগে ২৪শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে রাহুল গান্ধীকে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেও তাঁর আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ আবেদনের প্রেক্ষিতে জানায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতের সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদ বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়ই দেয়। তবে তাতে এমন বিবৃতি দেওয়ার স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত নয় যা কোনও ব্যক্তির জন্য মানহানিকর বা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য মানহানিকর।
ফলে রাহুল গান্ধীর আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার ফলে নিম্ন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, হাইকোর্টে আবেদন খারিজ হওয়ার পরেও লখনউ এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা না দিলে আদালত অবমাননার অভিযোগের সম্মুখীন হবেন রাহুল। এবার রাহুল গান্ধী কোন্ পথে হাঁটেন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।