Santanu Sen Case Update : শান্তনু সেনের ডিগ্রি বাতিল মামলায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশ খারিজ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিং

20

ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুলাই : কলকাতা হাই কোর্টে স্বস্তি পেলেন শান্তনু সেন। বিদেশি ডিগ্রি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় আদালত (Santanu Sen Case Update)। পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে, কেন শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হল, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট কারণ বা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। আদালতের রায় অনুযায়ী, শান্তনু সেন তাঁর লেটারহেডে ডিপ্লোমা ফেলোশিপ হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন। তবে চাইলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে ফের আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে।

বিদেশি ডিগ্রি বিতর্কে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশে তাঁর ডাক্তারি লাইসেন্স দু’বছরের জন্য বাতিল হয়, এমনকি জানানো হয়, তিনি আর নিজের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবেন না, প্রেসক্রিপশনও লিখতে পারবেন না। তবে সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, শান্তনু সেন তাঁর লেটারহেডে নিজেকে ‘ডিপ্লোমা ফেলোশিপ’ হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন।

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এই তথ্য জানতে পেরে শান্তনু সেন অভিযোগ করেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁকে কিছু না জানিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানিতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তিনি।

শান্তনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করেই ‘এফআরসিপি গ্লাসগো’ নামে একটি বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করছিলেন। গত মাসেই এই বিষয়ে কাউন্সিলের তরফ থেকে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার শান্তনুকে তলবও করা হয়। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে, কাউন্সিল তাঁর চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দু’বছরের জন্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বহু দিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। তবে চলতি বছরের শুরুতেই সেই পদ হারান তিনি। এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করে। আরজি কর হাসপাতাল সংক্রান্ত ঘটনার পর থেকেই শান্তনুর অবস্থান এবং তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। ‘মেয়েদের রাত দখল’ আন্দোলনের প্রতি শান্তনুর সমর্থন স্পষ্ট ছিল, এমনকি তাঁর স্ত্রীকেও দেখা গিয়েছিল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে। শান্তনু তখন হাসপাতাল প্রশাসনের ভিতরে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন। এর জেরেই দল থেকে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। মুখপাত্রের পদ হারান, বাদ পড়েন বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি তালিকা থেকেও। অবশেষে, শান্তনুর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে তাকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।