Shubhanshu Shukla’s Undocking Date : শুভাংশুরা পৃথিবীতে ফিরছেন কবে? জানাল নাসা

13

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুলাই : ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা এবং তাঁর সহযাত্রীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) তাঁরা ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছেন। এবার শুরু হচ্ছে ‘আনডকিং’-এর প্রস্তুতি (Shubhanshu Shukla’s Undocking Date)। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, আগামী সোমবার, ১৪ জুলাই আইএসএস থেকে আনডক করবে তাঁদের মহাকাশযান অ্যাক্সিয়ম-৪।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ জানান, ‘‘আমরা মহাকাশ স্টেশনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ চালাচ্ছি এবং অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের অগ্রগতি আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার মনে হচ্ছে, এখন আনডক করার উপযুক্ত সময় এসেছে। আপাতত আমাদের লক্ষ্য ১৪ জুলাই অ্যাক্সিয়ম-৪-এর আনডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।’’

শুভাংশুর সঙ্গে এই অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) গিয়েছেন আরও তিন মহাকাশচারী—ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজ়নিউস্কি এবং টিবর কাপু। এই অভিযানে নাসার তরফে নেতৃত্বে রয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লই।

জানা গেছে, আইএসএস প্রতি ৯০ মিনিটে একবার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ফলে মহাকাশ স্টেশন থেকে দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় দেখা যায়। অর্থাৎ, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বার সূর্য ওঠে এবং অস্ত যায়। এই হিসাবে দু’সপ্তাহের মধ্যে মহাকাশ থেকে প্রায় ২৩০ বার সূর্যোদয় দেখে ফেলেছেন শুভাংশু ও তাঁর সঙ্গীরা।

গত ২৫ জুন স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন শুভাংশু শুক্ল-সহ চার মহাকাশচারী। ইতিহাস গড়েছেন শুভাংশু—প্রথম ভারতীয় হিসেবে আইএসএসে যাওয়ার কৃতিত্ব তাঁরই। দুই সপ্তাহের সেই মহাকাশ সফর শেষে এবার শুরু হচ্ছে ফিরে আসার প্রস্তুতি।

প্রসঙ্গত ‘আনডক’ কী? মহাকাশে যে ভাসমান গবেষণাগারে শুভাংশু ও তাঁর সঙ্গীরা রয়েছেন—অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)—সেখান থেকে ফেরার জন্য মহাকাশযানে ওঠার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘আনডকিং’। অর্থাৎ, আইএসএস থেকে মহাকাশযান আলাদা করে পৃথিবীর পথে রওনা হওয়ার প্রক্রিয়া।

এই অভিযানে যেই ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানে তাঁরা চড়বেন, সেটিতে ১৪ জুলাই উঠবেন শুভাংশুরা। সেখান থেকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে প্রায় ১৭ ঘণ্টা। বর্তমানে তাঁরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০ মাইল (প্রায় ৪০০ কিমি) ওপরে অবস্থান করছেন।