SIR In Election: SIR কি ? বিহারে এত প্রাসঙ্গিক কেন ? আপনি কি করবেন ?

98

ডিজিটাল ডেস্ক ২৫শে জুলাইঃ আগামী বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতের নির্বাচন কমিশন রাজ্যে ভোটার তালিকার একটি “বিশেষ নিবিড় সংশোধন” প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল যোগ্য কোনও নাগরিক যেন বাদ না পড়ে এবং অযোগ্য কেউ যেন তালিকায় না থাকে। বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন(SIR)করতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের পর ৫৬ লক্ষের নাম বাদ পড়তে চলেছে। নির্বাচন কমিশনের এই ‘SIR’ নিয়েই সরব হয়েছে বিরোধীরা। আরজেডি ও অন্য বিরোধীরা বিহার বিধানসভার বাদল অধিববেশনে আলোচনার আবেদন জানিয়েছে। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই গণনার কাজ শেষ হলে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা(SIR In Election)।

SIR বলতে কী বোঝায়?

এই প্রক্রিয়ায় পুরনো ভোটার তালিকার উপর নির্ভর না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন করে তালিকা তৈরি করা হয়। প্রশিক্ষিত বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেন। কমিশন এই পদ্ধতি গ্রহণ করে তখনই, যখন মনে করে ভোটার তালিকাগুলি ভুল বা পুরনো হয়ে গেছে, বা নতুন তালিকার প্রয়োজন হয়েছে।

কেন এই মুহূর্তে আলোচনায়?

এই মুহূর্তে বিহারে চলমান এসআইআর প্রক্রিয়ার সময়, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে ৫২.৩ লক্ষ ভোটারকে তালিকাভুক্ত ঠিকানায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি। যা রাজ্যের মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের ৬.৬২ শতাংশ। এই ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যত্র চলে গেছেন, কেউ মারা গেছেন, কেউ ডুপ্লিকেট ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত, আবার অনেককে একেবারেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সুপ্রিম কোর্ট ও আধার বিতর্ক

গত ১০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে আধার,ভোটার আইডি ও রেশন কার্ডের মতো নথিকে বৈধ প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনার সুপারিশ করে। তবে তারা নির্বাচন কমিশনকে এই এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বলেনি।

এদিকে, কমিশনের নতুন নির্দেশ অনুসারে ২০০৩ সালের পর ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন এমনদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য জন্মতারিখ বা জন্মস্থান সংক্রান্ত প্রমাণ জমা দিতে হবে যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

কীভাবে নতুন করে বিহারের ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে?

বিএলও-রা তালিকায় থাকা ৪.৮৯ কোটি ভোটারদের কাছ থেকে ফর্ম পূরণ করিয়ে তা সংগ্রহ করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রের পরিধি চূড়ান্ত করে, ১২০০ ভোটারের বেশি যেন না হয় প্রতিটি বুথে সেই অনুযায়ী বুথ পুনর্বিন্যাস করা হবে।

১ আগস্ট ২০২৫ প্রকাশ পাবে খসড়া ভোটার তালিকা।
১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে আপত্তি ও দাবি দায়েরের সময়সীমা।
২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবিগুলোর নিষ্পত্তি হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

বিহারে শেষবার এসআইআর কবে হয়েছিল?

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিহারে শেষবার ২০০৩ সালে এসআইআর পরিচালিত হয়েছিল। ৩১ দিনের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়াই তখন এই কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর ২০০৫ সালে নির্বাচনের আগেই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তখন পাটনায় প্রায় ৭০ হাজার ডুপ্লিকেট নাম পাওয়া গিয়েছিল, এমনকি অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।