SSC Nabanna Abhijan Update : রাতভর অবস্থানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের!

7

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৪ জুলাই : মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে আলোচনার পরেও সমাধানের কোনও পথ বেরোলো না। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় চাকরিহারারা। আন্দোলনরত মেহবুব মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল-সহ অন্যান্যদের দাবি, রাতের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। তাঁদের প্রশ্ন, “তালিকা প্রকাশের নির্দিষ্ট নির্দেশ না থাকলেও, নিষেধাজ্ঞাও তো নেই। তাহলে তালিকা তৈরি থাকা সত্ত্বেও তা প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন?” তবে রাত গড়াতেই আন্দোলনের কৌশলে পরিবর্তন আনেন চাকরিহারারা। সিদ্ধান্ত বদল করে আপাতত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, সাময়িক বিরতি নিয়ে সপ্তাহান্তে আবারও পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা (SSC Nabanna Abhijan Update)।

সুপ্রিম কোর্টে যেন দ্রুত যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা জমা দেওয়া হয় এবং বাকি প্রার্থীদের জন্য নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়—এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানাতে চেয়েছিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একাংশ। সেই উদ্দেশ্যেই সোমবার তাঁরা ডাক দেন নবান্ন অভিযান-এর। তবে মাঝপথেই তাঁদের রুখে দেওয়া হয়। পরে ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনারসহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরাও। তবে বৈঠক শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যান মুখ্যসচিব, যা ঘিরে ক্ষোভ ছড়ায় চাকরিহারাদের মধ্যে। বৈঠক শেষেই তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের দাবি, “মুখ্যসচিব আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং তা নোটও করেছেন। কিন্তু আমাদের মূল দাবি ছিল যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ। শিক্ষামন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী—সবার তরফেই বলা হয়েছে তালিকা তৈরি আছে। তাহলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশ না থাকার অজুহাতে কেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না?” তাঁদের প্রশ্ন, “তালিকা প্রকাশে সুপ্রিম কোর্ট কোনও নিষেধাজ্ঞাও দেয়নি। তাহলে লুকিয়ে রাখার কারণ কী?” চাকরিহারাদের সাফ বক্তব্য, সোমবার রাতের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। রাতভর অবস্থান চালানোর কথাও জানান। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আন্দোলনকারীরা আপাতত অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর পরেই নবান্নের সামনে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ব্যারিকেড।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। সর্বোচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল—নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ মেনে মে মাসের শেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে ‘যোগ্য’ বলে দাবি করা চাকরিহারীদের একাংশ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আবার নতুন করে কোনও পরীক্ষায় বসতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, আগেই তাঁরা যোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন—তাই পুনরায় পরীক্ষা অনুচিত।