ডিজিটাল ডেস্ক, ১৮ মে : গত বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা ধস্তাধস্তিতে পরিণত হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই ঘটনায় চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর এবং সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ১৭ জন শিক্ষককে নোটিস পাঠিয়ে ২১ মে থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অনুপস্থিত থাকলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র নির্দিষ্ট ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে (SSC Updates Police Case)। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও পুলিশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়।
শুক্রবার বিধাননগর উত্তর থানায় ওই ঘটনার মামলা দায়ের হয়, যেখানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ১৭ জন শিক্ষককে নোটিস পাঠিয়ে জানিয়েছে যে, তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর এবং সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ২১ মে, বুধবার সকাল ১১টায় তাঁদের থানায় হাজিরা দিতে হবে। অনুপস্থিত থাকলে বিএনএস-এর ৩৫(৬) ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভে বারবার উত্তেজনা দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা নতুন কোনো পরীক্ষায় বসতে রাজি নন, তাঁদের পুরনো চাকরিই ফিরিয়ে দিতে হবে। যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে তাঁদের আশ্বস্ত করছেন, ততক্ষণ তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। রাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ওঠে, যা শুক্রবার পুলিশও স্বীকার করে নেয়। শুক্রবার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ প্রথম থেকেই সংযম বজায় রেখেছিল। সাত ঘণ্টা আন্দোলনকারীদের কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। সকলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার থাকলেও, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে আমরা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি।’’ এ বার ওই ঘটনায় ১৭ জন শিক্ষককে নোটিস পাঠিয়ে থানায় তলব করল পুলিশ।