ডিজিটাল ডেস্ক ৯ই জুলাইঃ শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখাতেও একাধিক জায়গায় ট্রেন অবরোধের চেষ্টা হয়। যাদবপুর স্টেশনেও দেখা যায় একই ছবি। বামেদের কৃষক ক্ষেত মজুর সংগঠন তারকেশ্বরের তালপুর স্টেশনে তারকেশ্বর- আরামবাগ ট্রেন অবরোধ করে।
দেশজুড়ে আজ সাধারণ ধর্মঘট। সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি জেলায় জেলায়। বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমে পড়ে বাম কর্মী-সমর্থকরা। রেল অবরোধ করা হয়। এরফলে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। অফিস টাইমে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের।
এদিন সকালে শিয়ালদহ মেন লাইন- বেলঘরিয়া, ব্যারাকপুর, কৃষ্ণনগর-সহ একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়। মাঝ পথেই থেমে যায় ট্রেনের চাকা(Tarin & Different Service Stop)। পুলিশ এসে ধর্মঘটিদের সরাতে চাইলে শুরু হয় বচসা, সেই থেকে হাতাহাতি। এরফলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন।
শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখাতেও একাধিক জায়গায় ট্রেন অবরোধের চেষ্টা হয়। যাদবপুর স্টেশনেও দেখা যায় একই ছবি। বামেদের কৃষক ক্ষেত মজুর সংগঠন তারকেশ্বরের তালপুর স্টেশনে তারকেশ্বর-আরামবাগ ট্রেন অবরোধ করে।
শ্রমিক ও কৃষক-বিরোধী কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে পথে নামছেন প্রায় ২৫ কোটিরও বেশি শ্রমিক-কর্মচারী। যার জেরে এদিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ব্যহত হতে পারে তা আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
কোন কোন পরিষেবায় প্রভাব পড়বে?
বনধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে চলেছে ব্যাঙ্ক,বিমা,কয়লাখনি,ডাক বিভাগ,সরকারি কারখানা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে। পরিবহণ ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (AITUC)-এর সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কউর বলেন, ‘সরকার আমাদের ১৭ দফা দাবি বহুদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। বিগত দশ বছরে একটি বার্ষিক শ্রমিক সম্মেলনও হয়নি। বাধ্য হয়েই এবার পথে নামা।’
প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে বনধের গতিপ্রকৃতির উপর। সাধারণ মানুষও আজকের দিনটা কাটাতে চাইছেন সতর্কতা ও ধৈর্যের সঙ্গে।