Today Market Price:হাত দিলেই ছ্যাঁকা এক ধাক্কায় চড়া বাজারদর,টানা বৃষ্টির জের
ডিজিটাল ডেস্ক ১০ই জুলাইঃ টানা বৃষ্টিতে গরম কমলেও বাজারে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে। কারণ,সবজি থেকে মাছ,মাংস। সবেরই দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বৃষ্টির জেরে জোগান কম থাকায় এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে(High Price)। বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। মাছের দামও বেড়েছে। বেড়েছে মুরগির মাংসের দামও। যার কারণে প্রতিদিনের খাবারের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে আমজনতা। সবজি কিনতে গিয়েই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে দিন আনি দিন খাওয়া মানুষরা(Today Market Price)।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। দু’দিন আগে কাঁচা লঙ্কার কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বেগুনের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। আলু ২৮-৩৩ টাকা ,টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। আলুর দাম যদিও এখনও সেভাবে বাড়েনি। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০ টাকায়। পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। ঝিঙের দাম ৮০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। মুসুরডাল ৯০-১১০ টাকা, মুগডাল ১০০-১২০,ঢেঁড়স ৩৭-৪১ টাকা, সজনে ১০০-১১০ টাকা,কুমড়ো ২৫-২৮ টাকা।
সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় সবজি চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে জোগান কম রয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনে আবহাওয়ার উন্নতি না হলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তাঁরা।
এদিকে, সবজির দাম বৃদ্ধি নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি আঁচ করেই মাঠে নামতে চলেছে টাস্ক ফোর্স। শুক্রবার থেকে তারা অভিযানে নামতে চলেছে। কলকাতার তিনটি বাজারে শুক্রবার অভিযানে নামবে তারা। কথা বলবেন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে একথা জানিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে সবজির দাম বেড়েছে। তবে তার জন্য বৃষ্টিকেই তিনি দায়ী করেছেন।
সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন,’বর্ষার সময় চারিদিকে জল জমে গিয়ে সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও বাজারে বাজারে পর্যাপ্ত মাল আছে না। যারা আনেছে তারা তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লোকাল চাষিদের লঙ্কা শেষ হয়ে গিয়েছে। বেলডাঙার লঙ্কাও প্রায় শেষ। বাইরের রাজ্য থেকে লঙ্কা এলে দাম কমবে। মাস খানের দাম একটু বেশিই থাকতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে কমে যাবে। আমরা বাজার ঘোরা শুরু করছি শুক্রবার থেকে। তবে, মাল যদি কম আসে তাহলে ব্যবসায়ীরা কী করবে? তবে, অতিরিক্ত মুনাফা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার কোলে মার্কেট, তারাতলা হোলসেল মার্কেট, উল্টোডাঙা মার্কেটে আমরা যাব।’