ডিজিটাল ডেস্ক ১১ই জুলাইঃ নিম্নচাপ সরেছে ঝাড়খণ্ডে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপের অবস্থান দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকায়। মৌসুমী অক্ষরেখা আলিগড় ডালটনগঞ্জের উপর দিয়ে দিঘা হয়ে দক্ষিন-পূর্ব দিকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। নিম্নচাপ সরলেও বৃষ্টি জারি থাকবে রাজ্যে। নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে সরে যাওয়ার কারণে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমবে। তবে সক্রিয় বৃষ্টির অক্ষরেখার জন্য বজ্রবিদ্যুতসহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। আজ কলকাতায় সর্বচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্প ও আদ্রতার পরিমাণও থাকছে ৮৩ শতাংশ(Today Weather Update)। ১০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে কোলকাতা ও শহরতলী অঞ্চলে। রবিবারের পর বৃহস্পতিবার প্রথম একটু শুকনো হল হাওয়া। অনেকটা হাঁটার পর পিঠ ভিজল মিহি ঘামে। পূর্বাভাস যদিও দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবুও মানুষের বিশ্বাস হচ্ছিল না যে বৃষ্টি কমবে। বৃহস্পতিবার তার উপর সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। সবাই ভেবেছিল রাস্তায় বেরিয়ে আজও দুর্ভোগ। তবে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দেখা যাবে কোথাও কোথাও।
সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। আজ ও আগামীকাল বজ্রবিদ্যুতসহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও তার পরিমাণ থাকবে কম দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুতসহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুতসহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আগামী রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। উপরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বাকি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য কমবে। সোম ও মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। ভারী বৃষ্টির ফলে আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকায় ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে