ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুলাই : অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল শনিবার দুপুরে আমেরিকার ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (USA Flight Problem)। সেদিন এক বিমানে থাকা ১৭৩ জন যাত্রী ও ছ’জন ক্রু সদস্য বিপদের মুখ থেকে রক্ষা পান।
জানা গেছে, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমানটি ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেক-অফের প্রস্তুতিতে ছিল, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে রানওয়ে জুড়ে। ঘটনার জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও দক্ষ তৎপরতায় ১৭৩ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু সদস্যকে নিরাপদে বিমান থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। এই ঘটনার সময় এক কর্মী সামান্য আঘাত পেয়েছেন বলেও জানা গেছে।
আমেরিকায় তখন দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৩০২৩ নম্বর বিমানটি মায়ামির উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিমানে ছিলেন ১৭৩ জন যাত্রী। ঠিক উড়ানের আগে হঠাৎ করেই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়। সেই সমস্যা কাটিয়ে উড়তে যাওয়ার চেষ্টায়ই আগুন ধরে যায় গিয়ারে, আর মুহূর্তের মধ্যে ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক।
সতর্কতা হিসেবে বাজতে শুরু করে আপৎকালীন সাইরেন। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ককপিটে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়— জানানো হয় যে বিমানে ধোঁয়ার পাশাপাশি আগুনের শিখাও দেখা যাচ্ছে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একবার কন্ট্রোলারের বার্তা আসে: “আপনারা পুরোপুরি আগুনের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।” শুরু হয় আপৎকালীন অবতরণের প্রস্তুতি।
তবে আতঙ্কিত যাত্রীরা তার আগেই জরুরিকালীন দরজা খুলে লাফিয়ে নামতে শুরু করেন। এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের বাঁ দিকের পিছনের অংশ থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে ঘন কালো ধোঁয়া, আর কিছু যাত্রী দ্রুত নেমে আসছেন নিচে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডেনভার দমকল বিভাগের কর্মীরাও।
এদিকে, আমেরিকান এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময় বিমানের চাকায় সমস্যা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ল্যান্ডিং গিয়ারেই ত্রুটি ছিল। অন্যদিকে, বোয়িংয়ের বিমানে একের পর এক দুর্ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এখনও টাটকা রয়েছে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্মৃতি, যেখানে একটি বোয়িং বিমান ভেঙে প্রায় আড়াইশো জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।