Rahul Meet Modi : পহেলগাঁও আবহে মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী-রাহুল?

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ৫ মে: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর তৈরি হওয়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে প্রথমবার মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়েই দু’জনের সাক্ষাৎ স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি করেছে (Rahul Meet Modi)।

সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, নতুন সিবিআই প্রধান নিয়োগের লক্ষ্যে গঠিত উচ্চপর্যায়ের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর ৭ লোককল্যাণ মার্গে গিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে, এই কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা। বর্তমানে সিবিআই ডিরেক্টর পদে রয়েছেন প্রবীণ সুদ, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৫ মে। সোমবারই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপে বিরোধীরা একযোগে সমর্থন জানিয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে সাফ জানিয়েছিলেন, সঙ্কটের সময় তাঁরা রাজনীতি করতে চান না। কিন্তু সেই ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

কেরলের তিরুবনন্তপুরমের কাছে কেন্দ্র, রাজ্য এবং আদানি গোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা ভিঝিনজাম সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধনে মোদী কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এখানে রয়েছেন, ইন্ডিয়া জোটের শক্তিশালী স্তম্ভ। শশী তারুরও এখানে বসে আছেন। এই অনুষ্ঠান অনেকের ঘুম উড়িয়ে দেবে।’’

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, “বিরোধীরা যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। এটাই তাঁর মানসিকতা।” কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “স্পর্শকাতর সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের নিম্নস্তরের রাজনীতি করছেন— এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। দেশের শত্রুরা হয়তো এই মুহূর্তে হাসছে।”

Comments are closed.