India Pakistan Tensions : অপারেশন সিঁদুরের পালটা পাকিস্তানের ‘বুনইয়ান উল মারসুস’!

9

ডিজিটাল ডেস্ক, ১০ মে : ভারতীয় সেনাবাহিনীর “অপারেশন সিঁদুর”–এর পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান “অপারেশন বুনইয়ান উল মারসুস” (Bunyan-ul-Marsoos) চালিয়েছে, যা ইসলামাবাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার গভীর রাতে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ ও ভাটিন্ডা এয়ারবেসে আঘাত হানে। এই হামলায় কিছু সেনাকর্মী ও যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করেছে (India Pakistan Tensions)।

শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতীয় কমান্ড অথরিটির (NCA) জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন। এই কমিটির হাতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ও দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে। রেডিও পাকিস্তান সূত্রে খবর, অপারেশন বুনইয়ান উল মারসুসের অংশ হিসেবে পাকিস্তান শুক্রবার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছে।

এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে ২২ এপ্রিল পহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের ওপর হামলার পর, যা ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে “অপারেশন সিঁদুর” চালায়। পাকিস্তান দাবি করে, ভারতীয় হামলায় ৩৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, এবং তারা প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান “অপারেশন বুনইয়ান উল মারসুস” (Operation Bunyan-ul-Marsoos) নামটি আরবি ভাষার শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ “সীসা দিয়ে নির্মিত দেয়াল” বা “অটুট পরিকাঠামো”। এই নামটি ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন থেকে গৃহীত। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, এর উদ্দেশ্য হলো নিজেদের প্রতিরক্ষা বলয়কে অটুট হিসেবে উপস্থাপন করা।

এই অপারেশনটি ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা আক্রমণ হিসেবে চালানো হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় হামলায় ৩৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, এবং তারা প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করেছে।

ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (NCA) পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা, যেখানে শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক নেতারা অন্তর্ভুক্ত থাকেন। এটি দেশের পরমাণু অস্ত্র নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা তদারকি করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Comments are closed.