India Pakistan Border Tensions : বড় হামলার ছক কষছে পাকিস্তান? প্রস্তুত ভারতও

15

ডিজিটাল ডেস্ক, ১০ মে : শুক্রবার গভীর রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাঞ্জাব ও গুজরাটের চারটি ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ ও ভাটিন্ডা এয়ারবেস। উত্তরপ্রদেশের উধমপুর ও পাঠানকোটে হামলা চালানোর পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করে দিয়েছে। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিদেশ মন্ত্রক যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে এই তথ্য জানিয়েছে।

এই সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে, “দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে।” এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, আরও অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা। তাদের জবাব দিতে তৈরি হয়েছে ভারতীয় বাহিনীও (India Pakistan Border Tensions)।

এদিন বিদেশ মন্ত্রক এবং সেনার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের আক্রমণ জারি। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলায় ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উধমপুরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলগুলিকে নিশানা করেছে পাকিস্তানি সেনা। হাই স্পিড মিসাইল ছোড়া হয়েছে।”

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, পাকিস্তান সীমান্তে লাগাতার উসকানি চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ ও ভাটিন্ডা এয়ারবেসে হাই স্পিড মিসাইল হামলা চালানো হয়, যার ফলে কিছু সেনাকর্মী ও যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করেছে।

এদিকে, সীমান্তে উস্কানি ও অনুপ্রবেশের চেষ্টা রোধে বিএসএফ ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে উভয় বাহিনী সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপত্যে হামলা চালায়, যা প্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়। কর্নেল সুফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান বারবার ভারতীয় বিমানঘাঁটিগুলিকে নিশানা করছিল, যার ফলে ভারত দ্রুত পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের টেকনিক্যাল স্থাপনা, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, রাডার এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাক সেনাঘাঁটি রাফিকুই, মুরিদ, চকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পরিমিত অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান দ্বারা হামলা করা হয়। এছাড়া, পাসরুরের রাডার সাইট এবং শিয়ালকোটের বিমানঘাঁটিতেও নির্দিষ্ট অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা পরিচালিত হয়।