ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ মে : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে কার্যত সম্পূর্ণ স্তব্ধতা নেমে এসেছিল। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—সবই বন্ধ ছিল, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন। তবে, গত শনিবারের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ভূ-স্বর্গ। এখন, আংশিকভাবে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Schools Reopening in Kashmir)।
কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার জানিয়েছেন যে, উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে এবং সামগ্রিক পরিবেশে পরিবর্তন আসছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে বেশিরভাগ অঞ্চলের স্কুল-কলেজ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও খোলা হচ্ছে না, যার মধ্যে রয়েছে কুপওয়ারা, বারামুল্লা এবং বান্দিপোরা। এদিকে, পাঞ্জাব-পাকিস্তান সীমান্তের শহরগুলোর, যেমন অমৃতসর, পাঠানকোট, ফিরোজপুর ও গুরদাসপুরের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে চালু হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দেশের একাধিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ মে পর্যন্ত বিমানবন্দরগুলি বন্ধ থাকার কথা ছিল। তবে, নতুন করে কোনও উত্তেজনা না ছড়ানোয় নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্রীনগর, চণ্ডীগড় এবং অমৃতসর-সহ মোট ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হয়েছে।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল-কলেজ এবং দেশের ৩২টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শনিবার বিকেল ৫টায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে, ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানে ড্রোন হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে, তিন রাজ্যের বেশিরভাগ শহরে ব্ল্যাকআউট করা হয়। তবে, রবিবার সকাল থেকে নতুন কোনও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
Comments are closed.