ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ মে : পহেলগাঁও ঘটনার দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপত্যকা জুড়ে তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। এর পাশাপাশি, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে সন্দেহভাজন তিন পাকিস্তানি জঙ্গির ছবি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করেছে পুলিশ। জনগণের সহায়তা পেতে, জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে পুলিশের তরফে (Kashmir Terrorist Poster)।
দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ি ও জঙ্গলঘেরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার, সোপিয়ানে চার লস্কর জঙ্গির উপস্থিতির গোপন খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ সেখানে অভিযান শুরু করে। বর্তমানে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে। তদন্তকারীরা আগে থেকেই সন্দেহ করছিলেন যে পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিরা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোথাও লুকিয়ে রয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন পাকিস্তানি জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছিল, এবার তাদের ছবি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় হামলার ঘটনায় তিনজন পাকিস্তানি জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি, পাশাপাশি এক স্থানীয় জঙ্গিও শনাক্ত হয়েছে। তবে হামলার পর থেকে ওই চার জনের কোনও সন্ধান মেলেনি। পুলিশ ও সেনার পাশাপাশি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের সহযোগিতার অভিযোগে ইতিমধ্যেই একশোরও বেশি স্থানীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা মূলত ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে কাজ করতেন। তদন্তকারীরা এখনও খুঁজছেন, আরও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী জঙ্গিদের সন্ধান মেলেনি। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ি ও জঙ্গলঘেরা এলাকায় লাগাতার তল্লাশি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার, সোপিয়ানে চার লস্কর জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে, যার ফলে শুরু হয় গুলির লড়াই। তদন্তকারীরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিরা দক্ষিণ কাশ্মীরে কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে।
পহেলগাঁও ঘটনার পর, ৭ মে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত হিসেবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। এই অভিযানে জইশ ও লস্কর জঙ্গিদের ন’টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পাকিস্তান একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে তা প্রতিহত করেছে। পালটা আক্রমণে ভারতের বায়ুসেনা পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাতে পাকিস্তান একাধিক হামলার চেষ্টা চালালেও, ভারতীয় সেনা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে।