ASSAM SHAHITYA SABHA: বরাকের গণদাবি ভাষা শহিদ স্টেশনে সায় সাহিত্য সভার

16

ASSAM SHAHITYA SABHA: ভাষা শহিদ স্টেশনের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এবার হিমন্তবিশ্ব সরকারের চাপ বাড়িয়ে দিল অসম সাহিত্য সভা। সাহিত্য সভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বরাকের বুদ্ধিজীবী মহল থেকে আমজনতা সবাই।

স্বীকৃতি পাচ্ছে উনিশের ভাষা শহিদদের বলিদান
৬৫ বছর পর ১৯ মে’র আত্মবলিদানকে মর্যাদা
ভাষা শহিদ স্টেশনের দাবিতে সায় অসম সাহিত্য সভার

এই মুহূর্তে বরাক সফরে রয়েছেন অসম সাহিত্য সভার ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। রবিবার শিলচর ও হাইলাকান্দি সফরের পর সোমবার শ্রীভূমিতে যান সাহিত্য সভার সদস্যরা। দুদিনের এই বরাক সফরে সমন্বয়ের বার্তা নিয়ে অসম সাহিত্য সভা

বরাক উপত্যকার সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি শিলচর রেল স্টেশনের নাম ভাষা শহিদ স্টেশন করা হোক। ২০০৫ থেকেই এই দাবি করে আসছে বরাকের বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন। ১৯৬১ সালের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিলেন যে শহিদরা, তাঁদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই দাবি করা হয়েছিল।

ভাষা শহিদ স্টেশনের দীর্ঘ দুই দশকের এই দাবিকে এতদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছিল অসম সরকার। অসমীয়া বুদ্ধিজীবী মহলেও উপেক্ষিত ছিল ভাষা শহিদ স্টেশনের দাবি। কিন্তু শেষপর্যন্ত বরফ গলে। ভাষা শহিদ স্টেশনের দাবিকে স্পষ্ট ভাষায় পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান অসম সাহিত্য সভা।

সাহিত্য সভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল বরাকের বুদ্ধিজীবী মহল অসম সাহিত্য সভার এই ঘোষণার পর গোটা বরাকে খুশির হাওয়া। সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল, সবাই সাহিত্য সভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বাংলার যে দাবি, অসমীয়াদেরও সেই একই দাবি। বর্তমান এই সময়ে দুটো ভাষাই আক্রান্ত জানান আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য

এখানেই শেষ নয়, বিভাজনের যে রাজনীতি চলছে সেটা বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি। বিদেশি তকমা দিয়ে বাঙালিদের যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, অসম সাহিত্য সভা তার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস

অসম সাহিত্য সভার এই সিদ্ধান্তের পর এবার অসম সরকার নড়চড়ে বসবে এবং ১৯ মের দিনই শিলচর রেলওয়ে স্টেশনকে ভাষা শহিদ স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এমনটাই ধারণা আমরা বাঙালির সচিব প্রধান সাধন পুরকায়স্থের।

উল্লেখ্য, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় ৬১’র সেই আন্দোলনে পুলিশের এলোপাথারি গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন বীরেন্দ্র, চণ্ডীচরণ সহ এগারোটি তরতাজা প্রাণ। তাঁদের স্মৃতিতেই প্রতিবছর ১৯ মেকে ভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

Comments are closed.