ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুন : দিনভর অস্বস্তিকর গরমের পরে মঙ্গলবার রাতে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে, যা কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের রূপ নিয়েছে। এর ফলে বুধবার সকালে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে, শহরবাসীর জন্য এনে দিয়েছে সাময়িক স্বস্তি। দক্ষিণবঙ্গে বুধবারও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে কোথাও কোথাও দুর্যোগের সঙ্গে বজায় থাকবে ভ্যাপসা গরমও। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে (Weather Update)।
বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মঙ্গলবারের ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। রাতে হওয়া ঝড়বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৬ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা, যদিও মাঝে মাঝে রোদের দেখা মিলেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সন্ধ্যার পর শহরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে পারে, সঙ্গে থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগের ঝোড়ো হাওয়া।
বুধবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, আর ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে থাকবে অস্বস্তিকর গরম।
বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে। বৃহস্পতিবারও ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে, বিশেষত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে যেখানে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। অন্য জেলাগুলিতে ঝড়ের তীব্রতা অপেক্ষাকৃত কম হলেও সমস্ত জেলাতেই কিছু না কিছু দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকছে।
অন্য দিকে, বুধবার উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে ভারী বর্ষণ (৭-১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে, আর জলপাইগুড়িতে ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। এই দুই জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, পাশাপাশি দার্জিলিংয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় হলুদ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।