NCW Letter To Rajib Kumar:এবার চিঠি, ডিজি রাজীব কুমারকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের

11

ডিজিটাল ডেস্ক ৬ জুনঃ গত কয়েকদিন ধরেই অনুব্রত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি তুঙ্গে। বোলপুরের আইসি ও তার পরিবারকে কুৎসিত কদর্য ভাষায় আক্রমনের যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল তা যে এত বিস্ফোড়ক জায়াগায় পোঁছে যাবে তা অনুব্রত নিজেও আঁচ করতে পারিনি। রাজ্যের শাসকদলের ভাবমূর্তি বেশ কিছু ঘটনার জন্য এমনি তলানিতে থেকেছে। তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইরাল এই অডিও ক্লিপ। যেখানে অনুব্রতর গলায় শোনা যায় রাজ্যের ডিজি রাজিব কুমারের নাম। যা বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয় শাসক তৃণমূলকে। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও। সেই সূত্র ধরেই ডিজি রাজীব কুমারকে এবার চিঠি ধরাল জাতীয় মহিলা কমিশন। এই কমিশনের তরফে লেখা হয়েছে “জনমানসে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, এবিষয়ে রাজ্য় পুলিশের তরফে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, তাতে কমিশন অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন। এধরনের নিষ্ক্রিয়তা শুধু অপরাধীদের উৎসাহিত করে না, পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে তলানিতে পৌঁছে দেয় এবং পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং তৎপরতা নিয়ে মানুষের ভরসার জায়গাটা নাড়িয়ে দেয়(NCW Letter To Rajib Kumar)।”

একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল , যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে জানতে চাইল জাতীয় মহিলা কমিশন । বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়? বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ করার ৭ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার থানায় হাজিরা দেন ‘অসুস্থ’ কেষ্ট। অসুস্থতার কারণে গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিস এড়িয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল । টানা পাঁচদিন ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কাল, বুধবার পর্যন্ত ছিল অনুব্রতর সেই বিশ্রামের সময়সীমা। তাই এদিন দুপুর ৩টে ২৫ নাগাদ তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা চুপচাপ শান্তিকিনেতন এসডিপিও অফিসে হাজিরা দেন। দু’ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

এই ভাইরাল অডিও নিয়ে তৃণমূলের তরফে অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতে তিনি নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। তবে পুলিশের তরফে মামলা দায়েরের পর নিয়ম অনুযায়ী হাজিরা দেওয়ার কথা। তিনি বারবার এড়িয়ে গেলেও তাঁর হয়ে আইনজীবী পুলিশের সঙ্গে দেখা করে অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় নথিও পেশ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার অনুব্রত হাজিরা দেওয়ায় অনেকের অনুমান, দলের নির্দেশ মেনেই এই কাজ করলেন তিনি।